15.3 C
Bangladesh
Saturday, December 21, 2024
spot_imgspot_img
Homeদৃষ্টি আকর্ষণসংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ - ফরিদপুর পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এর বিরুদ্ধে...

সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ – ফরিদপুর পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এর বিরুদ্ধে বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

এম.এ.মুঈদ হোসেন আরিফঃ

ফরিদপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মো: মাহবুবুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বেপরোয়া আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণসহ দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে উপ-পরিচালক, ফরিদপুর এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সচিব (স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ), মহা-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লেখিত উপপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা, ফরিদপুর মো: মাহবুবুল ইসলাম গত ০৩ ফেব্রæয়ারী,২০২১ ইং তারিখে ফরিদপুর যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে উপ-পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিকট হতে, পিআরএল (তৃতীয় শ্রেণী) বাবদ ৩ হাজার টাকা, পেনশন ও আনুতোষিক (তৃতীয় শ্রেণী) বাবদ ৫ হাজার টাকা, পিআরএল, পেনশন ও আনুতোষিক (চতুর্থ শ্রেণী)বাবদ ৩ হাজার টাকা, উচ্চতর স্কেলের মঞ্জুরী প্রদান (তৃতীয় শ্রেণী) বাবদ ১ হাজার ৫ শত টাকা, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে যে কোন ফরওয়ার্ডিং প্রেরণ বাবদ ১ হাজার ৫শত টাকা করে তালিকা তৈরী করে অত্র জেলার ৯টি উপজেলার সহকারীগণদেরকে অবহিত করে ঘুষ আদায় করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগে স্বাক্ষরিত অফিস সহকারী, পরিদর্শক, অফিস সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরীসহ শতাধিক বিভিন্ন পদবী/শ্রেণীভূক্ত কর্মচারীদের ফাইল কৌশলে আটকে রেখে উপপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ভাবে টাকা আদায় করেন। উক্ত উপ-পরিচালককে ঘুষের টাকা দিতে বিলম্ব হলে আদেশগুলো নজিরবিহীন ভাবে ভূতাপেক্ষভাবে মঞ্জুর করা হয়।এছাড়াও নৈশ প্রহরী মোঃ জাকির হোসেন, গাড়ি চালক জব্বার মোল্লা ও লোডার আব্দুর রহমান মোল্লাদের পোশাক খাতে বরাদ্দকৃত টাকা থেকেও দুর্নীতি করতে বাদ দেন নাই তিনি। এমনকি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নগরকান্দা ফরিদপুরের কাছ থেকে ভ্রমণভাতা অনুমোদনের জন্য ১০০০ টাকাও ঘুষ গ্রহণ করেন। ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এফপিআই দের উচ্চতর স্কেল মঞ্জুরীর জন্য ১৯/০৭/২০২১ তারিখের ৪৭২ (৩২) নং স্মারকের মাধ্যমে প্রত্যেকের নিকট হতে ১০০০/= (এক হাজার) টাকা করে ১১ জনের থেকে ১০০০ ১১= ১১,০০০ টাকা এবং ১৯/০৭/২০২১ তারিখের ৪৭৩ (৪০) নং স্মারক মোতাবেক ১৯ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী প্রত্যেকের নিকট হতে ১০০০/= (একহাজার) টাকা হিসেবে ১০০০ ১৯=১৯,০০০/= টাকা উপপরিচালক ঘুষ গ্রহণ পূর্বক উচ্চতর স্কেলে মঞ্জুরী প্রদান করেন। এছাড়াও মোঃ মনিরুজ্জামান নির্বাহী পরিচালক, (ডিডিএ) ফরিদপুর, নাজমা আক্তার, নির্বাহী পরিচালক, (এজাগ) ফরিদপর, হিরুন নাহার, সম্পাদক পূর্বখাবাসপুর মহিলা উন্নয়ন সংঘ ফরিদপুর, মোঃ ফয়সাল আলী, সভাপতি, আদর্শ পাঠাগার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, আলেয়া বেগম, সভাপতি, প্রতীক মহিলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা সহ ১০ টি বেসরকারী সংস্থার নিকট থেকে ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা খাতে বরাদ্দকৃত এককালীন অনুদানের বিল ভাউচার অনুমোদন ও ফরোয়ার্ডিং প্রেরণের জন্য মোট ২৫,০০০ টাকা উপপরিচালক উৎকোচ (ঘুষ) গ্রহণ করেন। ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করেন যে, এই উপপরিচালক, মোঃ মাহবুবুল ইসলাম সকল জাতীয় দিবসে অনুপুস্থিত থাকেন। এমনকি, ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের মতো একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিনে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর মতো সুযোগও হয়না তার। অথচ তিনি জেলা পর্যায়ের পঞ্চম গ্রেডের একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে বেতন ভাতা ভোগ করে আসছেন। বিষয়টি ক্ষমার অযোগ্য। এছাড়াও গত এপ্রিল ২০২১ সালের শুরুর দিক থেকে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন প্রতিরোধে ধাপে ধাপে ঘোষিত লকডাউনের পুরো সময় তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অথচ লকডাউনের সময় কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে রাজশাহীতে অবস্থান করতেন এবং সেখান থেকেই ই-মেইল এর মাধ্যমে দাপ্তরিক সকল কাজ সম্পন্ন করতেন।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ বিভিন্ন খাতে ভূয়া খরচ দেখিয়ে অফিসের হিসাব রক্ষক আরিফ শিকদার এর সাথে যোগসাজসে টাকা আত্মসাৎ করেন। উক্ত অর্থ বছরে আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই পকেটস্থ করেন তিনি। তার পূর্বের উপপরিচালক মহোদয় নগরকান্দা উপজেলা কার্যালয়ের একজন দায়ী নার্সকে সরকারী স্বার্থে ফরিদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে যোগদানের ডেপুটেশন আদেশ প্রদান করলেও বর্তমান উপপরিচালক ফরিদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা কেন্দ্র থেকে কেবল তার আর্থিক লাভের জন্য উক্ত দায়ী নার্সকে ১০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে পূনরায় নগরকান্দা উপজেলা কার্যালায়ে ফেরত যেতে আদেশ স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে ফরিদপুর পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক মাহবুবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলতে থাকেন। কিন্তু সাংবাদিকদের জেরার মুখে অবশেষে তিনি অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন আমার অফিসের কোন কর্মচারী অর্থ লেনদেন করতে পারে, আমি জানিনা। এছাড়া মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে রাত্রি যাপনের বিষযে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আমাদের অতিরিক্ত সচিব স্যারের অনুমতি নিয়েই ওখানে থাকি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে অতিরিক্ত সচিব মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার সাথে আমার কোন প্রকার কথা হয়নি। তাছাড়া কোন উপ পরিচালকের সাথে আমাদের যোগাযোগ করা হয় না। তিনি যা বলেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা বলেছেন

Most Popular

Recent Comments