রাবি প্রতিনিধি
জুলাইয়ের গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে এবং দেশব্যাপী অপতৎপরতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে চারটায় সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জােহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়৷
মিছিলটি জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা হয়ে টুকিটাকি দিয়ে প্যারিস রোডে প্রবেশ করে এবং পুনরায় জোহা চত্বরে এসে শেষ হয়৷ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাই নাই’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘গড়িমসি বন্ধ কর, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর’ ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নাে মাের’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবাে রক্ত’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ, রাবি শাখার সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, গণঅভুত্থানের দীর্ঘ নয়মাস পরেও শহীদ ভাইদের খুনীরা দিব্যি বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ পাঁচ আগস্টে যাদের কে দেশের সকলে লাল কার্ড দেখিয়েছে, তারাই কিছুদিন আগে ঢাকায় মিছিল বের করেছে। তাহলে আমাদের শহীদ ভাইদের যে আমানত ছিলো, সেটা কী আমরা রক্ষা করতে পেরেছি? এই দেশে আজকে ক্ষমতা বন্টনের রাজনীতি চলতেছে, পকেট ভারী করার রাজনীতি চলতেছে, কার কতো টাকা আছে, সেটার রাজনীতি চলতেছে। কিন্তু আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের কথা ভুলে গেছি। যারা জুলাইকে ধারণ করে, তারা সবাই আজকে রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে৷
বাংলাদেশ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে জুলাই অভুত্থানের প্রায় নয় মাস পরেও জুলাই গণহত্যা, পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যার বিচারের জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হয়। যেই সরকারের পুরো শরীরে শহীদের রক্ত, তারা কী সেই রক্ত ধুয়ে মুছে সুশীল সরকার সাজতে চায়? সময়ের পরিক্রমায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা যখন দেশে প্রবেশ করবে, তখন কী শুধু ইনকিলাব মঞ্চের ভাইদের ফাসি হবে?
এসময় তিনি পলাশীর যুদ্ধের কথা টেনে বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের যে ভুলের কারণে আমাদের একশত নব্বই বছর গোলামি করতে হয়েছে, সে ভুল কী আমরা আবারো করবাে? তাই আমি আজকে সবাই কে বলতে চাই অতি দ্রুত গণহত্যার বিচার করতে হবে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে৷
হাফিজুর রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়