মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
মাঘের শীতে বাঘ কান্দে। প্রবাদটি আগের যুগের প্রচলিত বাক্য। সেই বাক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে এবারের শীত। পহেলা মাঘ থেকে নওগাঁ জেলার বদলগাছী,ধামইরহাট,সাপাহার,পোরশা, নিয়ামতপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রতিদিন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বাড়তে শুরু করেছে ঠান্ডার মাত্রা। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।হাটবাজার ও ফুট পাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে ।
প্রায় ২৪ ঘন্টায় কনকনে ঠান্ডা বাতাশ বইছে। দিনের মধ্যভাগে সুর্যের মুখ দেখা মিল্লেও রোদের তেমন তেজ নেই।
প্রচন্ড শীতের কারণে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন ব্যহত হচ্ছে। দিনমজুর ও ক্ষেতমজুররা ঠিক মতো মাঠে কাজ করতে পারছে না বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান ঠান্ডায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিকরা রাস্তায় বের হচ্ছে বেলা বাড়ার পর থেকে। ফলে পরিবারের খোরাক যোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। বাতাস ও শীতের কারণে জনশূন্য থাকছে রাস্তা-ঘাটসহ বাজারগুলো। শিশুরা সকালের শীত আর কুয়াশায় মধ্যে স্কুলে যেতে প্রচন্ড কষ্টো পাচ্ছে। শিশু শিক্ষার্থীেদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শীত জনিত রোগে ভুকছে। তীব্র শীতের কারণে শীত জনিত যেমন, ডায়রিয়া, সর্দ্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শাস কষ্ট রুগির সংখ্যা বেড়ে গেছে। শীতের গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায়, দুস্থ ও ছিন্নমুল মানুষগুলো। গরম কাপড় পাওয়ার আশায় তারা চেয়ে আছে সমাজের বিত্তবান ও সরকারের দিকে। ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের কিছু বিত্তশালী লোক দুস্থদের মাঝে গরম কাপড় (কম্বল) বিতরণ শুরু করেছেন। তবে দুস্হদের সংখ্যানুযায়ী বিতরণ অতি অল্প।