শফিকুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
শারদীয় দূর্গা পুজার মন্ডপের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বর জন্য কর্তৃপক্ষের অফিসে নাম লেখাতে ৫শ টাকা করে গুনতে হয়েছে গ্রামের সহজ-সরল আনসার ভিডিপি সদস্যদের। নিরাপত্তার জন্য নাম তালিকাভুক্ত হওয়া আনসার সদস্যরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে উর্ধতন প্রশাসনের কাছে ডিউটির নামে ইউনিয়ন কমান্ডারদের ঘুষ বানিজ্যর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন। ওপেন সিক্রেট ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় পুজা মন্ডপের ডিউটি করতে নাম লেখানো আনসার সদস্যদের। শুক্রবার কর্র্তৃপক্ষের বন্টন করা পুজা মন্ডপে ডিউটি করতে যাবার সময়ে সাংবাদিকরে কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আনসার ভিডিপি সদস্যরা।
নাম না প্রকাশের শর্তে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা জানান, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার আয়শা খানম এর নাম করে পাঁচ ইউনিয়নের ১০ জন কমান্ডার পুজার ডিউটিতে তাদের নাম লেখানো এবং তাদের ইচ্ছানুযায়ি পুজা মন্ডপে ডিউটি দেয়ার কথা বলে ৫শ টাকা করে ঘুষ নিয়েছে। কোন কোন ভিডিপি সদস্যর কাছ থেকে ৫শ টাকার বেশী নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই তাদের চাহিদানুযায়ি ষে পর্যন্ত বাড়ির পাশের পুজা মন্ডপের তালিকায় ডিউটিতে নাম না থাকায় কমান্ডারদের ঘুষের বিষয়টি সামনে এসেছে। সংশ্লিষ্ঠ অফিস সূত্র মতে, উপজেলার পুজা মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ১হাজার ১৮জন আসনার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ সদস্য ৭০২জন, নারী সদস্য ৩১৬জনসহ পিসি ৩৫জন এবং এপিসি ১৫৮জন। সেই হিসেবে আনসার সদস্যদের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫লাখ ৯হাজার টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে ইউনিয়ন কমান্ডাররা। বাড়ির পাশের পুজা মন্ডপে আনসার সদস্যদের ডিউটি দিলে রাতে তারা ডিউটি না করে বাড়ি গিয়ে ঘুমায়; তৃণমুল থেকে এমন অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের সাথে ১৬ অক্টোবর মতবিনিময় সভায় স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নির্দেশে আনসার সদস্যদের নিজের বাড়ির কাছের পুজা মন্ডপে ডিউটি না দিয়ে অন্যত্র ডিউটি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় মন্ত্রী পদ মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি আরও নির্দেশনা প্রদান করেছিলে যে, পুজার দিনসহ আগে ও পরে আরও তিন দিন করে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রীর সেই নির্দেশও উপেক্ষিত হয়েছে।নিজেদের সিসি নিয়ে শুক্রবার ষষ্ঠী পুজার দিন আনসার সদস্যরা ডিউটি করতে যাবার সময়ে কর্মকর্তাদের ঘুষ বানিজ্যর বিষয়টি উন্মুক্ত হয়। তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে উর্ধতন প্রশাসনের কাছে কর্মকর্তার ঘুষ বানিজ্যর বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার আয়শা খানম সাংবাদিকদের বলেন- পুজায় ডিউটি করতে তার নাম করে ইউনিয়ন কমান্ডাররা সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি শুনছেন তবে কিছু প্রতিকার করতে পারেন নি তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন- বিষয়টি তার জানা নেই তবে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।