শফিকুল ইসলাম(এমএ)
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রেমিকার বাড়িতে রাত্রি যাপন করতে গিয়ে আবুল বাশার মোঃ তারেক নামের এক কথিত সাংবাদিক আগৈলঝাড়া পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। ওই নারীকে বিয়ের শর্তে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পেয়েছে প্রতারক তারেক।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাহুতপাড়া গ্রামের মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ডিভোর্সি প্রেমিকার বাড়িতে প্রায়ই রাত্রিযাপন করতো বিমানবন্দর থানা এলাকার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে আবুল বাশার মো. তারেক (৪০)। এরই ধারাবাহিকতায় এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে রাত্রিযাপন করার সময় আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের এসআই মিজান অভিযান চালিয়ে তারেককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক তারেক থানায় বসে নিজেকে মুসলিম টাইমস ও এশিয়া বানীর সাংবাদিক পরিচয় প্রদান করে। তারেক জানায়, সে দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার ব্যুরো চীফ হিসেবে কাজ করেছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আজকালের খবর পত্রিকায় সে কখনো কর্মরত ছিল না। তার দেয়া পরিচয় ভুয়া। বরিশালের একাধিক সাংবাদিক তাকে সাংবাদিক হিসেবে চেনেন না বলেও নিশ্চিত করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারেক উজিরপুর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দা শাহীনা আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী। শাহীনা আক্তার জানান, প্রতারক তারেক আগে রাস্তার পাশে বসে অষুধ বিক্রি করতো। বিয়ের পরে একাধিক মেয়ের প্রতি তার আসক্তির বিষয়টি তার কাছে ধরা পরে। এমনকি তারেকের একাধিক বিয়ের বিষয়টিও জানতে পারে তিনি। তারেক একজন অশিক্ষীত লোক। তবে নিজের প্রতারনার ফাধে ফেলে নারীদের সর্বনাশ করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার কাজ। তারেকের বিরুদ্ধে তিনি বরিশাল বিমানবন্দর থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। তারেকেরা ৩ ভাই ২ বোন, যারা সবাই বিভিন্ন প্রতারণার সাথে যুক্ত রয়েছেন। বাবা সেনাবাহিনীর গাড়ি চালক থেকে অবসরে গেছেন। পুলিশ বার বার বরিশাল তারেকের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়েও প্রতারক তারেককে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে তারেক তার সাথে কোন সম্পর্ক রাখছেন না বলেও জানান তিনি।
দিনভর থানায় আটকের থাকার পরে বুধবার সন্ধ্যায় তারেকের বাবা শাহজাহান হাওলাদার ওই নারীর সাথে ছেলের বিয়ে দেবার শর্তে আগৈলঝাড়া থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন। থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার ওসি তদন্ত।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি তদন্ত মো. মাজাহারুল ইসলাম।