শফিকুল ইসলাম(এমএ)
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় যৌতুকের জন্য মিতালী হালদার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের আড়া থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার সকালে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই মিতালীর স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শ্বাশুড়ি পুষ্প বৈদ্যকে আসামী করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূর মা ফুলমালা হালদার।
মৃত ওই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের অমৃত হালদারের মেয়ে মিতালী হালদার (২৩) কে একই উপজেলার থানেশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত. নির্মল বৈদ্যর ছেলে মিন্টু বৈদ্যর সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারনে ৮বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে বিয়ের ৬মাস পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মিতালীকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করত।
সম্প্রতি মিন্টু বৈদ্যর সাথে অন্য একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এঘটনায় মিতালী জানার পর স্বামীকে বাঁধা দেওয়ায় তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এঘটনায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হলে মিতালীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন।
এঘটনা মিতালীর পিতার বাড়ির লোকজন জানতে পেরে তাঁরা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ও উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে থানায় নিয়ে আসেন।
গৃহবধূর মা ফুলমালা জানান, স্বামীর অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক মিতালী জানার পর স্বামীকে বাঁধা দিলে তাঁর উপর চলে নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় স্বামীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
এঘটনায় মিতালীর মা ফুলমালা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শ্বাশুরী পুস্প বৈদ্যকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং-৫।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আজ শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মৃত ওই গৃহবধূর মা ফুলমালা হালদার বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শ্বাশুড়ি পুষ্প বৈদ্যর নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।