রিপোর্টঃ মো ফেরদৌস মোল্লা
আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এদিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন নূর হোসেন। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট স্কয়ার এলাকায় শহীদ নুর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম,বিপ্লবী প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি মোল্লাহ, সদস্য আল-আমিন এম তাওহীদ, মোহাম্মাদ সাঈদ প্রমূখ।
নূর হোসেনের বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান আজও সবাইকে স্বৈরশাসনসহ সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা যোগায়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রিন্স, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ অতিশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শাহিন রেজা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব প্রমূখ।
নূর হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এদিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন নূর হোসেন।
নূর হোসেন ১৯৬১ সালে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ঝাঁটিবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকার সন্ধানে তার পরিবার ঢাকায় এসেছিল। নূর হোসেনের পরিবার থাকত রাজধানীর পুরনো ঢাকার বনগ্রামে। নূর হোসেনের বাবা মজিবুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন বেবিট্যাক্সি চালক। মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী। নূর হোসেন নিজেও ছিলেন একজন পরিবহন চালক।
গায়ের শার্ট কোমড়ে বাঁধা, পরনে জিন্সপ্যান্ট, পায়ে কেডস, খালি গায়ে বুকে পিঠে লেখা ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’। নূর হোসেনের পুরো শরীরটাই যেন প্রতিবাদি পোস্টার। নূর হোসেনের এ প্রতিবাদ সহ্য করতে পারেনি স্বৈরাচার সরকার। নির্মম বুলেট ছুটে আসে প্রতিবাদি যুবক নূর হোসেনের দিকে।
নূর হোসেনের বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান আজও সবাইকে স্বৈরশাসনসহ সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা যোগায়।