মোঃ মিঠুন সেখ মিঠু স্টাফ রিপোর্টার: সৌদি আরবের খেজুরের বিখ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির চাঁরা উৎপাদন করে সফল হয়ে দেখিয়েছেন পাবনা আতাইকুলার ছেলে মহিন উদ্দিন।
পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার আর আতাইকুলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৃর্ধাপাড়া গ্রামের মহিন উদ্দিন তিনি পেশায় একজন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি। টেলিভিশনে খেজুর বাগানের প্রতিবেদন দেখে শখ জাগে নার্সারি করার। তার ছোট ভাই সৌদি আরবে চাকরি করেন ভাইয়ে সখ পূরণ করতে সৌদি আরবের স্থায়ী নার্সারি মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন খেজুর বীজ ও সাথে চারা উৎপাদনের সকল কেমিক্যাল,হরমোন ও ম্যাটেরিয়ালসল।
মহিন উদ্দিন চাকরির জন্য জেলার বাহিরে যেতে হয়। সে সময় তার স্ত্রী চাঁরা পরিচর্যা,বিক্রিসহ সকল কাজ পরিচালনা করেন।
তার নার্সারিতে এখনও ২০০০ গাছের চাঁরা আছে। তার নার্সারীতে আজোয়া,মরিয়ম,নাখাল,বারহী জাতের সৌদি খেজুর গাছ রয়েছে।
এক বছরের মধ্যে তিনি হাজার হাজার টাকার খেজুরে চাঁরা বিক্রয় করেছেন। দেশি খেজুরের চাঁরার চেয়ে সৌদি আরবের এই খেজুরের চাহিদা ৮ গুণ বলে জানিয়েছেন সফল মহিন উদ্দিন।
মহিন উদ্দিনের খেজুর বাগান ও নার্সারি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দূর-দূরান্তের হাজারও যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষঁ।
মহিন উদ্দিন বলেন, এটি মূলত পবিত্র দেশের খেজুর। তাই এই খেজুর চাষে আগ্রহের এটাও একটা কারণ। অর্থনৈতিকভাবেও এটা অনেক লাভবান। আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখে দেখে চাষ শিখেছি। ইউটিউবের মাধ্যমে মহিন উদ্দিন সৌদি খেজুরে চাষ শিখে, এখন তার নার্সারিতে আযোয়া, মরিয়ম, নাখাল ও বারহী জাতীয় চার জাতের দুই হাজার চারা রয়েছে। যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।