মোঃ মিঠুন সেখ মিঠু
কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিতব্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে আতাইকুলা থানার বিভিন্ন এলাকায় দুই দলের সমর্থকরা কেউ ব্যস্ত পতাকা টানাতে আবার কেউ কেউ দল বেঁধে করছেন ভোজন উৎসব। পাড়া-মহল্লার দোকানে দোকানে তর্ক-বিতর্ক কিংবা একে অপরকে টিপ্পনী কাটার ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই।
দুই দলের সমর্থকদের টিপ্পনী ও হুমকি- পাল্টা হুমকির বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে আতাইকুলা থানায়।
পুলিশ সুপার পাবনার নির্দেশনা কাজ করছে আতাইকুলা থানা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে দুই দেশের সমর্থকদের উত্তেজনা নিরসনে ইতোমধ্যে পুলিশ বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দিচ্ছেন সতর্কবার্তা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
কোপা আমেরিকার এবারের আসরে ফাইনাল উঠেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালের দ্বিতীয় টিকিট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। এর আগে পেরুকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল ব্রাজিল।
শিরোপার লড়াইয়ে আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এই ম্যাচটি ঘিরে ব্রাজিল থেকে প্রায় ১৫ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা, টিটকারি ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটছে।
জানতে চাইলে আতাইকুলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জামান উদ্দিন বলেন, আতাইকুলা থানায় বেশ কয়েক জায়গায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের হুমকি-ধমকি কিংবা একে অপরকে টিটকারির অভিযোগ পাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন স্থানে আমরা নজরদারি করছি।
এলাকার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, খেলা মানুষের অন্যতম বিনোদন। এটিকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে কেউ যেকোনো দলের খেলাকে ভালোবেসে সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু সেটি যদি দেশ জাতি তথা কোনো মানুষের ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে তা বর্জন করাই উত্তম। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিনদেশের পতাকা বাড়ির ছাদ বা জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয়। যা আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রীতিনীতি আইন পরিপন্থী। সবাইকে সচেতনতা ও শালীনতা বজায় রেখে সমর্থন বা উদযাপন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।