আবুল হোসেন রাজু,
কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন এর শুভ আগমন উপলক্ষে গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বুধবার শেষ বিকালে সংবর্ধনা সভায় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.মতিউরের সঞ্চালনায় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণ সংবর্ধনা সভায় আঃ আজিজ মুসুল্লির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন,অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার,বিশেষ বক্তা কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু তালুকদার,
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো.ফারুক,কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি,
মহিপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল হাওলাদার, মহিপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহজাহান পারভেজ প্রমুখ।
শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
পরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হয়। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব কুদ্দুস মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, গণ মাধ্যমের স্বাধিনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবাদকর্মীরা সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে ভয় পেত। আমরা গণ মাধ্যমের পূর্ন স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিব। বিএনপি মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। এর আগে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে।
এসময় তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা সবার অধিকার ফেরত দিব। ২০০৪ সালে ২রা ডিসেম্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কলাপাড়ায় আসছিল তখন এই পর্যটন ইয়ুথ ইনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। একই উপজেলায় ২টি সরকারি হাসপাতাল যা বাংলাদেশের মধ্যে বিরল ঘটনা সে কাজটি বেগম খালেদা জিয়া করেছেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে যাননি,তিনি অনেক জুলুমের শিকার হয়েছেন তবুও এ দেশের মাটি ও মানুষকে ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের নেত্রী কোথায়? এমন নেত্রীর রাজনীতি না করাই ভালো যে নেত্রী দেশ ছেড়ে পালায়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সালিশ বাণিজ্য করা যাবে না, কারো জমি দখল করা যাবে না, কারো উপরে অন্যায় আচরণ করা যাবেনা। এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত কে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।