চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম মেশিন এর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ সামসুল আলম।
তিনি সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এফ রহমান হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি।অসংখ্য ইভিএম মেশিনে বেলা একটা পর্যন্ত কোন ভোট পড়েনি,
ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। অনেক ভোট কেন্দ্রে দেখেছি সর্ব সাফল্যে ২০ থেকে ৩০ টি ভোট পড়েছে, তিনি বলেন আমাদের হিসাব মতে সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম দশ আসনে মোট ভোট পাঁচ থেকে ছয় হাজারের বেশি হওয়ার কথা নয় কিন্তু রাতের বেলায় দেখতে পেলাম ভোট দেখানো হয়েছে ৫৭ হাজার এটা কি করে সম্ভব তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রশ্ন রাখেন।
উল্লেখ্য এই আসনে মোট ভোটার ছিল চার লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন।মোট ভোট পড়েছে ৫৭১৫৩টি। শতকরা হিসেবে ১১.৭ শতাংশ। অন্য প্রার্থীদের ভোট বাদ দিলে মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকার প্রতীক নিয়ে ৯.২৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় সংসদের এমপি উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোঃ সামসুল আলম বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।তিনি ভোট কেন্দ্রে বেশ কিছু অনিয়ম দেখতে পান, তার মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অন্য প্রার্থীর প্রতিক সম্বলিত কার্ড লাগিয়ে ভোট গ্রহণ করছেন, কিছু কিছু বুধে প্রিজাইটিং কর্মকর্তার চেয়ারে কেউ বসা ছিল না, অনেক প্রিজাইটিং কর্মকর্তা টেবিলের উপর পা তুলে মোবাইলে ফেইসবুক চালাচ্ছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটরদের পিংগার প্রান্ট ছোট ছোট কাগজে নিয়ে, তা ইভিএম মেশিনে দিয়ে ভোট নিচ্ছেন।
তাই এই ধরনের ভোটে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহণ না করার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবদয়ের কাছে অনুরোধ করেছেন। এই সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি নেতা জহুরুল ইসলাম রেজা, মোঃ সেলিম, একেএম নুরুদ্দিন জাহেদ, বেলাল, নাসিমা আলম, গোলজার বেগম সহ প্রমুখ নেতৃত্ব।