বিএম কলেজ প্রতিনিধি
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট ) সকাল ১১ টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এসএম হাসান রাজুর সঞ্চালনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি বিএম কলেজের জিরো পয়েন্ট চত্বরে আলোচনা সভা, সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারি বিএম কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য হাফেজ মোঃ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন , বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ এক অশান্তির দাবানলে দাউ দাউ করে জ্বলছে, সবাই এখন শান্তি চায়, মুক্তি চায়, ছাত্র সমাজ তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়, বর্তমান সময়ে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকারটুকু পাচ্ছেনা। এমতবস্থায় একদল ছাত্র কাফেলা মানুষের অধিকার, ছাত্রদের অধিকার, দেশের ভঙ্গুর অবস্থা উত্তরনে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠার ৩২ তম বছরে সংগঠনের অর্জন তুলে ধরেন এবং তার বক্তব্যে বলেন,দেশের যে সেক্টরেই তাকানো হয় সব ক্ষেত্রেই যেন দূর্নীতির এক মহরা চলছে, এমতাবস্থায় আমাদের ছাত্র সমাজকে সোচ্চার হতে হবে, ছাত্র সমাজ দেশ ও জাতির কল্যানে মেধাবি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পতাকা তলে ক্যাম্পাসের সকল ছাত্র ভাইদের যুক্ত হওয়ার আহব্বান জানান ।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্ব তৈরির অন্যতম জায়গা বাকসু, দীর্ঘদিন বাকসু নির্বাচন হচ্ছেনা।অনতিবিলম্বে বাকসু নির্বাচনের আহবান জানিয়ে কলেজ প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সরকারি বিএম কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল মহানগরের সভাপতি মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম ও বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারি বিএম কলেজের মজলিশে আমেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইমাম হাসান, অর্থ ও কল্যান সম্পাদক, মুহাম্মদ আবু বকর বিন আলম। দাওয়াহ সম্পাদক,গাজী মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান।দপ্তর সম্পাদক, হেমায়েত উদ্দিন। সাহিত্য ও সৃংস্কৃতি সম্পাদক, হান্নান উদ্দিন শাকিল ও আমেলার অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ শোয়াইবুর রহমান প্রমুখ ।
আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে শহীদ মিনার গেইট, কলা ভবন, পরীক্ষা ভবন, ব্যবসায় প্রশাসন ভবন এবং প্রশাসনিক ভবন প্রদিক্ষনের মাধ্যমে র্যালিটি জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় অনুষ্ঠানের সভপতি মুহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।