মুজাহিদ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর- বদলগাছী ) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা বর্তমানে নির্বাচনী কুশল বিনিময় ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সব মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হচ্ছেন সাবেক এমপি ডঃআকরাম হোসেন চৌধুরী।
সাবেক এমপি ডঃআকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হলে মোটা দাগে যে কাজগুলো করতে চাই:
১. গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য মসজিদ ও মন্দিরভিত্তিক ডিজিটাল লার্নিং হাব গড়ে তোলা। যেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন ফ্রি বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা তথা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা।
২. অবসর সময়গুলোকে যাতে করে গ্রামীণ মায়েরা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারে, সেজন্য মসজিদ মন্দিরভিত্তিক ডিজিটাল লার্নিং হাবের মাধ্যমে কার্যকরী কিছু প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: গার্মেন্টসের ঝুঁট কাপড় কম দামে কিনে সেগুলো দিয়ে বাচ্চাদের পোশাক তৈরি করে সেগুলোকে দেশ এবং দেশের বাইরে রপ্তানি করা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বাসা বাড়িতে বসে করা যায় এমন কিছু কাজের প্রশিক্ষন দেয়া ইত্যাদি। এতে করে মায়েদের অবসর সময়গুলো ব্যবহার করে তারা সাবলম্বী হবে এবং সেই অর্থগুলো সন্তানের পুষ্টি,স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
৩. কৃষিকে করব স্মার্ট। প্রিসিশান এগরিকালচারের মাটির শক্তির মধ্যে ভারসাম্য এনে একই জমিতে বছরে বহু ফসলী উপযোগী করে তোলা তথা কৃষিকে লাভজনক পেশায় পরিণত করা, সমবায়ভিত্তিক কৃষির মাধ্যমে কৃষি পণ্য বিক্রয়-বিপননের ক্ষেত্রে সঠিক মূল্য নিশ্চিত হবে।
৪. মহাদেবপুর বদলগাছীর ৩০-৫০ হাজার বেকার যুবক যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে সর্বোচ্চ সাপোর্ট প্রদান করা এবং স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা।
৫. জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম বা জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে লোকাল অ্যকশন গ্রুপের মাধ্যমে আমার গ্রাম আমার শহর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
৬. পার্টিসিপেটরি আইডেন্টিফিকেশন পোর্ট বা পিআইপির মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষের দারিদ্র পরিমাপ করে সরকারের বিভিন্ন ভাতা সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ডাটাবেইজ বা তালিকা তৈরি করা।
৭. দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ডিজিটালাইজড করার মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবার মতো উন্নত সেবাগুলোকে সংযুক্ত করা। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে শ্রেনী অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
সর্বপুরি নৌকার মার্কার বিজয়ের মাধ্যমে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে মহাদেবপুর-বদলগাছীকে স্মার্ট,মডেল উপজেলাতে রুপান্তর করাই মূল লক্ষ্য। এজন্য ঘরে ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার গড়ে তুলতে হবে।
মহাদেবপুর উপজেলাধীন রাইগাঁ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে রাইগাঁ ইউনিয়নের তৃণমূলের আওয়ামীলীগের নেতৃবর্গের উপস্থিতিতে বিশেষ একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা তুলে ধরেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন: স্থানীয় আওয়ামী নেতা মো: খাজামুদ্দিন। পবিত্র কুরআনুল কারিম থেকে তেলাওয়াত করে: আওয়ামী নেতা ইসলাম মন্ডল। গীতা থেকে পাঠ করেন: প্রবীণ আওয়ামী নেতা শ্রী মতিলাল পাহান ।
বদলগাছী সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: ইমরান হোসেন সোহাগের সঞ্চালনায় এগিয়ে চলে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:
রাইগাঁ ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রনজিত কুমার দাশ, মো: আলম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রী ষষ্ঠি চন্দ্র, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো: শাহীন আলম, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের মহাদেবপুর উপজেলা আহবায়ক মো: রফিকুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি – ভেটেনারী ডা: মো: জাহাঙ্গীর আলম,৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো:সাজু,ছাত্রলীগ নেতা চঞ্চল,রাহেল,বদলগাছী উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো: জনি,সফাপুর ইউনিয়ন মাসুদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শ্রী অনুপ কুমার দাশ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো: আবু সাঈদ প্রমূখ আওয়ামী নেতৃবর্গ।