জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ–
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কাউন্সিলর ও নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন, আজ রবিবার সকাল ৭ টায়, পৌর ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা পোষণ করেন। এবং একই সময়ে মহিপুর থানা ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে, পুলিশ বাহিনী।পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন, আইনশৃঙ্খলা পুলিশ বাহিনী, ও নেতা কর্মীগণ।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
এ সময় কুয়াকাটার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মনির শরীফ বলেন,এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয়বাংলা। সেই স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে দেশকে ও দেশের মানুষকে এখনও ভালোবাসছে মাদার অফ হিউম্যানিটি দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
এদিকে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার, সম্মানের সাথে বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে দিয়েছে ।
এ বিষয় নিয়ে নবনির্বাচিত মেয়র, আনোয়ার হাওলাদার বক্তব্যে বলেন, আমরা বাঙালি জাতি, বাংলার মানুষ সারা জীবন স্মরণ রাখবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যার হাতে তৈরি হয়েছে সোনার বাংলাদেশ।
তবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুয়াকাটা পৌরসভার শিক্ষিত তরুণ রাজনৈতিক প্রেমিকরা।
বারবার অভিযোগ করছেন যে এখন পর্যন্ত কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের গড়ে ওঠেনি বঙ্গবন্ধু চত্বর, তরুণরা রাগান্বিত হয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অনেকে মুখে ভালোবাসে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক কাছে, কিন্তু মন থেকে ভালবাসেনা কিছু সংখ্যক লোক। এবং সাথে সাথে দাবি করেন অতি দ্রুত কুয়াকাটা একটি বঙ্গবন্ধু চত্বর তৈরি করা হোক, সেই চক্র হবে কুয়াকাটার তরুণদের অহংকার।