শাহাদাৎ হোসাইন মিরাজ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হন নওগাঁর নিয়ামতপুরের সোলাইমান হক।
স্ত্রীর হাঁস-মুরগি বিক্রির টাকা, কলেজ পড়ুয়া ছেলের ধান কেটে উপার্জন করা অর্থ আর নিজের জমানো কিছু টাকা দিয়ে সম্প্রতি একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছেন তিনি। আর তাতেই ভাগ্য বদলে যায় তার। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভালাইন ঘাটি গ্রামের গামছা বিক্রেতা সোলাইমান হক। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন এর আওতায় ফ্রিজ কিনে তিনি হয়েছেন মিলিয়নিয়ার। ওই টাকা দিয়ে ব্যবসা আরো বড় করবেন সোলাইমান।
রোববার (২৮ জুন, ২০২০) ওয়ালটনের নিয়ামতপুর প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে সোলাইমানের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, যুবলীগনেতা মুরশেদ আলম মিঠু, ওয়ালটনের নওগাঁ জোনের এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্লাজা ম্যানেজার রায়হান কবির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। এর আগে সিজন-সেভেনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী।
সোলাইমান হক জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিন সদস্যের পরিবার তার। বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে। এ অবস্থাতেও সপ্তাহে তিন দিন সাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন হাটে গামছা বিক্রি করেন। পাশাপাশি কৃষিকাজও করেন। স্ত্রী হাঁস-মুরগি পালন করেন। ছেলে সবুজ রেজা রাজশাহী সিটি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বাসায় একটা ফ্রিজের দরকার ছিল। টাকার অভাবে কেনা হচ্ছিল না। অবশেষে তিনজনের টাকা জমিয়ে ফ্রিজ কিনতে যান। ২১ জুন নিয়ামতপুর উপজেলায় ওয়ালটন প্লাজা থেকে পছন্দের ফ্রিজটি কেনেন সোলাইমান। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। মাত্র ২৫ হাজার টাকায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি হয়ে গেলেন মিলিয়নিয়ার। এখন স্বপ্ন দেখছেন নতুনভাবে বাঁচার।
জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।