এস মন্ডল ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত মাসে শীতের তিব্রতা ছিলো পূর্বের সব বছরের চেয়ে বেশি। শীতের কারনে অনেক কৃষক তাদের বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারে নাই। ফেব্রæয়ারী মাস শুরুর পর থেকেই সেই শীতের তিব্রতা কমতে শুরু করেছে। কৃষকেরাও আট ঘাট বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে। কেউ জমি ভিজিয়ে চাষ করছে। কেউ জমিতে বোরো রোপন করছে। সব মিলে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলকার প্রায় সব জমিতেই একযোগে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা।
কৃষক বাদল চন্দ্র প্রামানিক জানান, এবার শীতের কারণে বোরো চারা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু শুরুর আগে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিলো বলে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির আগেই চারা গুলো বড় হয়ে যাওয়ায় ফলে বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে বোরো রোপণ করতে গত বছরের তুলনায় সার, সেচ ও মজুরির দাম বৃদ্ধি হওয়ায় রোপণের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনিসহ খয়েরবাড়ী মকবুল হোসেন,আলাদিপুরের মাজাহারুল ইসলাম,শিবনগর ইউনিয়নের আসাদ হোসেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এ বছর বোরো রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৭৯
হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো রোপণ হবে বলে আশা করছেন কৃষি দপ্তর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, আমরা কৃষকদের এ বছর বঙ্গবন্ধু-১০০, ব্রী-৮০, ৯২, ১০৪ ও বীনা-২৫ জাতের বোরো ধান চাষে আগ্রহী করছি ও বেশি চাষও হচ্ছে। এবার শীতের মধ্যে বোরো বীজতলা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে শীতের কারনে বোরো চারার তেমন ক্ষতি হয়নি। সে কারণে ঠিক সময়ের মধ্যেই বোরো রোপণ শুরু করতে পেরেছেন কৃষকরা। শীত কমতে শুরু করলে শীত জনিত রোগের আক্রান্ত বোরো চারা সবল হয়ে যাবে এবং দ্রæত বাড়তে থাকবে। এ নিয়ে কোন দুশ্চিন্তার কারোন নাই। তাছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের
সার্বিক সহযোগীতায় প্রস্তুত রয়েছে।