আবুল হোসেন রাজু,
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
করবো বন সংরক্ষণ, সুস্থ থাকবো সারাক্ষণ”এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উপকূলীয় বাসিন্দারা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টায় কুয়াকাটার গঙ্গামতি সমুদ্র সৈকতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে বিষাক্ত করে তুলেছে একশ্রেণির মৎস্যজীবী। বনের ছোট ছোট খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করায় ধ্বংস হচ্ছে শত শত প্রজাতির জলজপ্রাণি। ধারণা করা হচ্ছে খালে বিষাক্ত পানি খেয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা পড়ছে একের পর এক বনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবি চিত্রল হরিণসহ বন্যপ্রাণিরাও। গত সোমবারও (১২ ফ্রেব্রুয়ারি) একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত থেকে আমাদের উপকূলবাসীকে রক্ষা করে। মা যেমন নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়েও তার সন্তানকে বাঁচায়, তেমনি যে কোনো বিপদে সুন্দরবন সেই মায়ের মতোই আমাদের আগলে রাখে। এই সুন্দরবনকে রক্ষায় সরকারের আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। পাশপাশি ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষনা করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা বলেন, এই উপকূলীয় বনাঞ্চল আমাদেরকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে প্রাথমিকভাবে রক্ষা করা সহ প্রাকৃতিক ঝড়-বন্যা প্রতিরোধ করে। এই বনাঞ্চল উপকূলীয় এলাকায় সবুজ দেয়াল হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বনদস্যদের কারণে প্রতিনিয়ত বিলীন হয়ে যাচ্ছে এই এই সবুজ দেয়াল।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ফুঁসফুস সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে। বনজীবিরাই সুন্দরবনের সবথেকে আপনজন। কাজেই সুন্দরবন রক্ষায় বনজীবিদের যেকোন ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিপি টিম লিডার জসিম উদ্দিন খলিফা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কলাপাড়া প্রতিনিধি কামাল হাসান রনি, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মান্নু সহ প্রমুখ।
সুন্দরবন দিবসের এই কর্মসূচীতে কুয়াকাটা ও গঙ্গামতির
বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী,জেলে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।