স্টাফ রিপোর্টার,রবিউলঃ-
‘করোনার আতঙ্ক নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ দুরূহ’
‘করোনার আতঙ্ক নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ দুরূহ’
আগামী ১৯ মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পরীক্ষার্থীরা। রবিবার (১৪ই মার্চ) দুপুর সোয়া বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বলেন, করোনায় আক্রান্তের আতঙ্ক নিয়ে বিসিএসের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ দুরূহ।
সংবাদ সম্মেলনে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি ২০১১-১২সেশনের মার্কেটিং বিভাগে শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান।
তিনি বলেন,’দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৬.২৬ শতাংশ। নতুন ভেরিয়ান্ট শনাক্ত হওয়ায় ৪.৭৫ লাখ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। প্রায় ৫ লাখ পরীক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, পরিবহন ও যোগাযোগ শ্রমিক এবং পরীক্ষার কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, পর্যবেক্ষক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ সব মিলিয়ে ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষের জনসমাগমে পিএসসি নির্দেশিত বিধিসমূহ কতটুকু অনুসৃত হবে তা নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে তেমনি করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সফারের উচ্চ ঝুঁকির সম্ভাবনাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টিকা নিশ্চিতের আগেই এত বড় পরিসরে জনসমাগমের আয়োজন স্বাস্থ্যবিধি, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনা মোকাবিলায় সাম্প্রতিক তিনটি নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে পরীক্ষার্থীবৃন্দ মনে করেন। তাছাড়াও করোনা পজিটিভ পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে পিএসসির সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা না থাকায় তা সুস্থ পরীক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এমন আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা নিয়ে বিসিএসের মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সত্যিই দুরূহ।
গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ৪২তম বিসিএস (বিশেষ)-এর প্রিলিমিনারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে এমতাবস্থায় ৪১তম-এর প্রিলিমিনারি পেছানোর যৌক্তিকতা কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মেহেদী হাসান বলেন, সেখানে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ৩২ হাজার। আর এখানে প্রায় পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থী। তাই আমরা চাই পরীক্ষা পেছানো হোক।