21.2 C
Bangladesh
Friday, November 15, 2024
spot_imgspot_img
Homeজন দূর্ভোগকলাপাড়ার লালুয়ায় একটি সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিনত,বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা।। প্রগতি

কলাপাড়ার লালুয়ায় একটি সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিনত,বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা।। প্রগতি

মোঃরনি মিয়া  , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি 

কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার থেকে পায়রা বন্দরের শের-ই-বাংলা নৌঘাটিতে যাওয়ার ২ কিলোমিটার ইটের সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে খানা-খন্দ রয়েছে। কোথাও কোথাও ইট সড়ে গিয়ে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে । সড়কটি সংস্কার না করার কারনে কয়েক হাজার মানুষকে চড়ম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে গনমাধ্যমে কয়েকবার বাস্তব চিত্র তুলে ধরলে কতৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে। অথচ অনতিবিলম্বে সড়কটির সংস্কার এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঘূর্ণিঝড় আমফানে ধ্বংস যজ্ঞ ও বর্ষা মৌসুমের কারনে সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনার সংবাদ শোনা যাচ্ছে। সড়কটি এখন যে অবস্থায় রয়েছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়, নৌঘাটির লোকজন ছাড়াও সাউগারকান্দা, পশরবুনিয়া, দশকানি, ছোনখলা, চড়পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার লোক এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে। গ্রামের লোকদের যাতায়াতের প্রধান বাহন ভাড়াটে মটরসাইকেল। এছাড়াও ব্যবসায়ীক বাহন হিসাবে ভ্যান গাড়ি ও ইঞ্জিন চালিত টমটম (ভ্যান) চলাচল করে। যা এখন সড়কের দুরাবস্থার কারনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে গ্রামের ছোট ব্যবসায়ীদের পণ্যবহন সহ জরুরী রোগী যাতায়াতে চড়ম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পশরবুনিয়া গ্রামের রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারনে এখন আরো খারাপ অবস্থা হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

লালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য লিটন সাউগার বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য আমি বিভিন্ন মহলে ছুটোছুটি করছি। সড়কটির যে অবস্থা তাতে সামান্য কিছু বরাদ্ধ হলেই মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করা যাবে। সড়কটি সংষ্কারের জন্য তিনি ব্যাক্তিগতভাবে আগেও অর্থায়ন করেছে এবারও কিছু সহযোগীতা করবেন বলে জানান।

লালুয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, আমার পরিষদ হতে দেড় লক্ষ টাকার বরাদ্ধ দিয়ে কিছুটা কাজ করেছি। এছাড়াও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার পরিষদ হতে একলক্ষ টাকার বরাদ্ধ দিয়েছে। পাশাপাশি আভাস নামের একটি এনজিও নগদ কিছু অর্থ দিবে বলে সম্মতি দিয়েছে। এগুলো দিয়ে খুব দ্রুত সংষ্কার কাজ শুরু করবো বলে আশা করছি। কিন্তু সম্পূর্ন কাজ করতে আরোও কিছু অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি অত্যান্ত আক্ষেপ করে বলেন, সড়কটি নিয়ে এতোমধ্যে আমি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু অদ্যাবদি কোন সুরাহা পাইনি। আমার ক্ষুদ্র বরাদ্ধ হতে এতো বড় সড়ক সংস্কার সম্ভব নয়। সড়কটি সংস্কারের জন্য তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

Most Popular

Recent Comments