নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) কলাপাড়া প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গতকাল রবিবার মধ্যরাত থেকে টানা বর্ষনে মাঠ ঘাট প্লাবিত রাস্তাঘাট জনশূন্য। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলাপাড়ার সর্বত্র এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। অতি প্রয়োজনে কেউ কেউ ঘর থেকে বের হলেও তার সংখ্যা ছিল অতি নগন্য। রাস্তায় যাত্রীবাহী গাড়িও ছিলোনা চোখে পড়ার মতো। এ বছরে এত দিন কম বৃষ্টিপাত হলেও গত দু’দিনে এর চিত্র পাল্টে গেছে। এই সময়ে বর্ষা ঋতু কে উপভোগ করার কথা থাকলেও এবছর তা সম্ভব হয়নি। তবে বিগত দুই দিনের বৃষ্টিতে এখন কিছুটা হলেও মানুষ বর্ষাকে উপলব্ধি করছে। গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত এবং নিচু জায়গা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও, কোথাও পুকুর,মাছের ঘের ও ফসলের ক্ষেত একাকার হয়েছে। গবাদিপশু নিকে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। আবহাওয়া অফিস বলছে আগামী ৭২ ঘন্টা বা তিন দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে আসতে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত খেপুপাড়ায় ৬০ মিঃ মিঃ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করাহয়েছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় এর পরিমান ৪-৫ গুন বৃদ্ধি পেতে পারে। বেসরকারি আবহাওয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BWOT) অনেক আগেই জানিয়েছে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে পটুয়াখালীতে ৩০০ মিঃমিঃ এর বেশী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান রত নিম্নচাপটি গত কালকেই স্থল নিম্নচাপে পরিনত হয়ে কিছুটা দূর্বল অবস্থায় বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের উপর দিয়ে আরো পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দূর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন মেঘমালা সৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দর সমুহ ও উপকুলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দেশের সকল সমুদ্র বন্দরে (০৩) নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে। জেলেদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করাহয়েছে । দেশের উপকূলীয় ১৫ জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০১-০২ এর অধিক জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।