নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নে স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ লালুয়া এস,কে,জেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারে ২০২২ এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ কারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ জন। এদের মধ্যে একই নামের রয়েছে ৭ জন পরীক্ষার্থী। তাদের সকলের নাম সুমাইয়া। এদেরবপ্রত্যেকের বাড়ি একই ইউনিয়নের ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে।
জানাযায়, যখন ষষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি শুরু হয় তখন একে একে ঐ ক্লাসে সুমাইয়া নামে আটজন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে এদের নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়ের সকলে তাদের এস গ্রুপ নামে অবিহিত করে ডাকতে শুরু করেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের পক্ষথেকে জনানো হয়, সেই থেকে তারা আপ্রান চেষ্টা করেছেন যাতে এরা কেউ লেখাপড়া থেকে ঝড়ে না পড়ে। এটা যাতে বিদ্যালয়ে ইতিহাস হয়েথাকে সেই চেষ্টা করেছেন তারা। শেষ পর্যন্ত সাত সুমাইয়াকে ধরে রাখতে পারলেও একজন অন্যত্র চলে যায়।
এই সাত সুমাইয়া সম্পর্কে শিক্ষরা বলেন ওরা অত্যন্ত ভালো মনের। সবসময় পরাশুনার প্রতি মনোযগী ছিল। আমরাও তাদের সন্তান স্নেহে লালন করে পাঁচটি বছর অতিক্রম করেছি। ওদের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য কখনও আদর করেছি কখনও শাসন করেছি। তবে সব সময় আমাদের সকল শিক্ষদের টার্গেট ছিল এদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার। আজ আমরা পেরেছি। আশাকরি ওরা এস,এস, সি তে ভালো রেজাল্ট করে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করে বিদ্যালয়ের শুনাম বয়ে আনবে।
সুমাইয়াদের কাছে বিদ্যালয় এবং শিক্ষক সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই বিদ্যালয়কে আমরা আমাদের ঘর মনে করেছি। এত দিন এই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষরা একটা পরিবারের মত থেকেছি।এখান থেকে আদর স্নেহ ভালো বাসা পেয়েছি। শিক্ষকরা কখনও আমাদের মঙ্গলের জন্য শাসন করেছেন ওটা আমারা সকলে আশির্বাদ হিসেবে নিয়েছি। তারা আমাদের পুস্তক লব্দজ্ঞানের পাশাপাশি নিতি নৈতিকতা সম্বন্ধে যে শিক্ষা দিয়েছেন তা আমাদের দীর্ঘ জীবনে পথের পাথেয় হিসেবে আমরা ধারন করেছি। শিক্ষকরা আমাদেরকে যে আদর যত্ন ভালোবাসা দিয়েছেন তার যথাযথ মুল্যায়ন আমরা করতে পারব কিনা জানিনা। তবে যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি ও নিতি নৈতিকতা শিখেছি তাকে লালন করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার সুমাইয়া দের উদ্যেশ্যকরে বলেন , এই সুমাইয়ারা যেন উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশ, জাতি,তথা সমাজের উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয় এবং এরা যেন প্রমান করে দিতে পারে যে প্রত্যান্ত অঞ্চলে থেকেও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশ ও দশের জন্য কিছু করা যায় এমনটাই প্রতয়াশা তাদের সকলের কাছে।