জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা-কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:/-
সারাদেশে নারী নির্যাতন ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের ফাঁসির দাবীতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশব্যাপী গণধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের যে ঘটনা এখন মুখে মুখে ফিরছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেটি নিয়ে এখন বেদনা-অস্বস্তি-অনুতাপ আর প্রতিবাদের হাওয়া, সেই ভিডিও আমি দেখিনি। তবে না দেখেই বলে দিতে পারি, কী কী উপাদান ছিল সেখানে। নিশ্চয়ই সেখানে ধর্ষকদের প্রতি কাতর অনুনয় ছিল, সৃষ্টিকর্তার দোহাই দিয়ে বাঁচতে চাওয়ার আকুতি ছিল, কান্না আর গোঙানি ছিল। আর ছিল ধর্ষকদের উল্লাস, গালিগালাজ, অট্টহাসি। না দেখেই বলে দিতে পারি আমি। কারণ, বহু বছর ধরেই এমন একটা ছবি মাথায় নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছি আমি, আমরা।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, কার্যকর এবং আইনের সুশাসন নিশ্চিত করতে আজ কলাপাড়ায় মানববন্ধন করা হয়। নারীদের সম্মান প্রদর্শন করে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে মেয়েরাও রাস্তায় নেমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সকলের মতামত অনুযায়ী সমাজে হচ্ছেনা ধর্ষকের বিচার। যদি বিচার হতো তাহলে কিন্তু সেই ক্ষত শুকানোর ফুরসত মেলে না। হপ্তায় হপ্তায় খাগড়াছড়ি, সিলেট, ঝিনাইদহ হয়ে শরীরে আমার দগদগে ঘা। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দেওয়া হিসাবে গত নয় মাসে ৯৭৫ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গণধর্ষণের শিকার ১০৮ জন, হিংস মানুষের কাছ থেকে রেহাই পায়নি প্রতিবন্ধী নারীও।
ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার করার আহ্বান জানান কলাপাড়া সর্বস্তরের জনগণ। কলাপাড়া ছাত্র ছাত্রী-জনতার একজন সদস্য হেলেনা আক্তার বলেন, আর কত আমাদের মা ও বোনদের আমাদের ধর্ষণের শিকার হতে হবে, স্বাধীন রাষ্ট্রে আমরা মেয়েরা কি স্বাধীন ভাবে বাস করতে পারবোনা, এই প্রশ্ন রাখে সরকারের কাছে। বিনীত আকুল আবেদন করেন ধর্ষণকারীদের জানো আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
আয়োজনে: কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাব ।