পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা থেকেঃ-
সারাদেশে চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলছে ঠিক এমনি সময় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা রেল স্টেশনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সাংবাদিককে উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে সারাদেশের সাংবাদিক সমাজকে কলংকৃত করার ঘৃন্য ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য যে, উক্ত ঘটনায় বাদি মেরী আক্তার (১৭) তার অভিযোগে বলেছেন যে, গত ৭ অক্টোবর একটি সালিশ বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন। উক্ত সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময় স্থানীয় একজন সাংবাদিক ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এর পুর্বে গত ৮ অক্টোবর বাদিনী স্থানীয় প্রেসক্লাবে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন সেখানে তিনি ৮ অক্টোবর সালিশ বৈঠকের কথা বলেছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের করা সংবাদ প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে। অথচ মামলার অভিযোগে ৭ অক্টোবর বাদিনি সালিশ বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন। এবং বিভিন্ন সংবাদ মিডিয়াও তাই প্রকাশিত হয়। একই ঘটনায় বাদিনি ২ রকম তথ্য দিয়েছেন ও সংবাদকর্মীদের প্রকাশিত সংবাদে একই ঘটনায় দু রকম সংবাদ ছাপাও হয়েছে।
কাকিনা রেল স্টেশন এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, এ ঘটনায় উল্লেখিত ৭ আসামী সকলেই দিনমজুর, অটোচালক ও কিছু বখাটে ছেলে। তাদের পক্ষে তাৎক্ষনিক সালিশ বৈঠকে ৬০ হাজার টাকা দেয়া কোনক্রমেই সম্ভব নয়। তারা প্রশ্ন রাখেন সালিশ বৈঠক হলে দুটি পক্ষের দরকার হয়, কিন্তুু মামলার অভিযোগে একটি পক্ষের কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকের সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
তিনি বলেন, বাদিনী গত ৮ অক্টোবর উপজেলার তুষভান্ডার বাজারের আলসিয়ার বাজার এলাকায় অবস্থান করলে আমি তুষভান্ডারের স্থানীয় কিছু যুবকের মোবাইল পেয়ে আলসিয়ার বাজার এলাকায় বিকেল আনুমানিক ৩/৪ ঘটিকার দিকে আসলে বাদিনি মেরী আক্তার ওইসব স্থানীয় যুবক ও একজন ইউপি মেম্বারের সম্মুখে ঘটনার বিবরনে ভিডিও ফুটেজে বলেন, গত ৭ অক্টোবর বাদিনি মামলার ৪নং আসামী রকির বাড়িতে অবস্থান করেন। এবং ৮ অক্টোবর কাকিনার স্থানীয় অষ্ট্র নামের যুবক তাকে তুষভান্ডার নিয়ে আসেন এবং বাদিনি আসামীদের পরিচয় তার মাধ্যমে সনাক্ত করেন। আমি তাৎক্ষনিক বাদিনিকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। এবং ওইদিন আনুমানিক মাগরিবের আগে পরে আমি ঘটনাটি সরেজমিনে গিয়ে কাকিনা রেলস্টেশনে কয়েকজন স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে চাই। তাদের কাছে তেমন কোন তথ্য না পেলে চলে আসি।
এবং রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালীগঞ্জ থানার ডিএসবি এস আই জিয়াউর রহমান ( জাহিদ) কে বিষয়টি অবগত করে সকল তথ্য প্রদান করি। তিনি আমার কাছে তথ্য নিয়ে তাৎক্ষনিক জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। এবং পরদিন ৯ অক্টোবর আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে একজন ইউপি সদস্যের মোটর সাইকেল যোগে বাদিনিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে ডেকে এনে বাদিনিকে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়। এবং পরদিন ১০ অক্টোবর বাদিনির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক হিসাবে আমার বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে আমাকে আসামী করা হয়েছে বলে জানি। কিন্তু আমার প্রশ্ন উক্ত সালিশ বৈঠক যদি হয়ে থাকে তাহলে বাদিনির পক্ষে কারা বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং কারা বাদিনিকে ২ হাজার টাকা দিয়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে বাদিনী কার হেফাজতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ছিলেন এবং তারা কেন স্থানীয় থানায় বাদিনিকে হাজির করেনি প্রশ্ন রয়ে যায়। এই স্থানীয় যুবকগুলোর পারিবারিক ও রাজনৈতিক ব্যাগগ্রাউন্ড কি তার সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা দরকার ছিল না কি? এখানেও একটি প্রশ্ন রয়ে গেল। প্রকৃতপক্ষে এসকল যুবকের উদ্দেশ্য কি ছিল এসব কিছু কেন অগোচরে রয়ে গেল। বাদিনিকে মেডিকেল ভর্তি ও থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেয়া হলে বাদিনি ও স্থানীয় যুবকেরা এটি না করায় শুধুমাত্র তার বক্তব্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করা সমীচিন নয় বলে আমি অভিযোগের অপেক্ষায় থাকি। সেইসাথে উক্ত ঘটনায় আমাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানোয় এর তীব্র নিন্দা জানাই ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহিৃত করে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।