স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ রতনপুরে কুমিল্লা – নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই অবৈধভাবে সড়ক ও জনপদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণের একটি অভিযোগ উঠেছিলো।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রতনপুর বাজারে একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।তা সড়ক ও জনপদের জায়গা থেকে ২৫ থেকে ৩০ ফুট দূরবর্তী স্থানে এবং উত্তর দিকে কিছু আংশিক জায়গা মার্কেটের বারান্দা হিসেবে রেখেছে।
মহন নামের এক ব্যক্তি বলেন, জায়গাটি সম্পূর্ণ সরকারি বললে ভূল হবে।উত্তর পাশের কিছু অংশ মার্কেট কর্তৃপক্ষ বারান্দা হিসেবে রেখেছে।ঐ বারান্দার অংশটি সরকারী জায়গায় আছে।
মার্কেট মালিক কর্তৃপক্ষের জাকির বলেন,আমরা ৫ জন শেয়ারে এই জায়গাটি খরিদ করেছি।যার পূর্বের দাগ ছিলো ২০৮৫।আর বর্তমান দাগ হলো বিএস ফাইনাল ৪৮১৮ ও ক্ষতিয়ান নাম্বার হলো বিএস ১৮২৭ এবং আরএস ক্ষতিয়ান দাগ হলো ৩৭৩।অসৎ উদ্দেশ্যে হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের নিকট সড়ক ও জনপদ বিভাগ নোটিশ পাঠিয়েছে।পরবর্তীতে আমরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ কে ২৪-০৪-২০২১ এ উকিল নোটিশ দিতয়েছি এবং এখন পর্যন্ত আমাদের নোটিশ এর জবাব দেয় নি সড়ক ও জনপদ বিভাগ।আমাদের জায়গাটি সরকারী জায়গা থেকে ২৫ থেকে ৩০ ফুট দূরে।তবে উত্তর দিকের বারান্দার জায়গাটি সরকারি জায়গায় হতে পারে।সরকার যদি নিজেদের কাজে ব্যবহার করার জন্য নিতে চায় আমরা নিজ উদ্যোগে বারান্দার অংশটি ভেঙ্গে ফেলবো।
মার্কেট কর্তৃপক্ষ এর অভিযোগের ভিত্তিতে হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,মার্কেট নির্মাণ যারা করেছেন তাদের জায়গার পিছনের অংশে আমার জায়গা।আমার এই জায়গাটি ৬০ বছর ধরে ভোগ করছি।আমি আমার জায়গাটির সামনে রাস্তা নির্মাণ এর জন্য সড়ক ও জনপদ কে দরখাস্ত করেছিলাম তখন তারা বলেছিলেন দিবে।তবে মার্কেট নির্মাণ কারীরা অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় ও আমার এক শতক এর বেশী জায়গায় দখল করে মার্কেট নির্মাণ করায় আমার রাস্তার জায়গা বন্ধ হয়ে যায়।তবে আমি আমার জায়গা বুঝে পাওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজা-ই-রাব্বি বলেন,রতনপুর নয় যে কোন জায়গায় একজন ব্যক্তি সরকরি জায়গা দখল করছেন তার পাশের আরেকজন সরকারি জায়গা থেকে বঞ্চিত।তখন বঞ্চিত ব্যক্তি অভিযোগ করে নোটিশ পাঠায় পরবর্তীতে উচ্ছেদ হওয়ার কিছুক্ষণ পর পূর্বের ব্যক্তিগণ পূনরায় সেই জায়গা দখলে নেয়।তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ এমন নয়।সড়ক সম্প্রসারণ এর জন্য প্রয়োজন হলে তখন আমরা তা দখলে নিতে বাধ্য।আর রতনপুর এর জায়গা আপাতত আমাদের সড়ক সম্প্রসারণ এর জন্য প্রয়োজন নেই।যদি প্রয়োজন হয় ২০ তলা বিল্ডিং হলেও আমরা তা প্রশাসনের মাধ্যমে বুঝে নিবো।