আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা থেকে।। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশ শেষে আওয়ামিলীগ, ছাত্রলীগসহ মোট ৯ জন একসাথে ইসলামি আন্দোলনে যোগ দেন আনুষ্ঠানিকভাবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে হোমস’র মাঠে তাঁরা পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান তাদেরকে আনুষ্ঠানিক বরন করেন। যোগদানকৃতরা হলেন- কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকলীগের সাবেক একাংশ কমিটির সেক্রেটারি মো. আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মো. সোহাগ। এছাড়াও বাকিরা সবাই কুয়াকাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এর আগে বিকেল তিনটায় মহিপুর থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে মহিপুর থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা সহ-সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মাদ সেলিম মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আর আই এম অহিদুজ্জামান, সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আব্বাসী, ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম প্রমুখ। গণসমাবেশে বক্তারা সাম্য, ন্যায় বিচার ও আদর্শভীত্তিক রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। এই স্বাধীনতা দূর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সবাইকে আহ্বান জানান। শ্রমিকলীগ থেকে যোগ দেয়া মো. আলমগীর হোসেন জানান, আমি মুসলমান হিসাবে ইসলামি দলকে ভালোবাসি তাই অনেকদিন থেকেই যোগ দেয়ার চেষ্টা করছি তাই এখন সুযোগ পেয়ে যোগ দিয়েছি। পরবর্তীতে আর দল পরিবর্তনের চিন্তা নেই। পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁরা দলে আসতে চেয়েছে সেকারণে তাদেরকে নেয়া হয়েছে। তবে আমরা তাঁদের পূর্ববর্তী কাজের খোজখবর নিবো, আওয়ামীলীগের ঘূর্ণিত কর্মকাণ্ড এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যদি কোনো কাজের প্রমান পাওয়া যায় তাহলে তাঁদেরকে বহিষ্কার করা হবে।