জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা-কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:-
মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা। সেই সহানুভূতি বুকে ধারণ করে, অসহায় মানুষের পাশে সবসময় ছিলেন এবং আছেন কুয়াকাটা পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মো: শহিদ দেওয়ান। যার রাজনৈতিক জীবনে রয়েছে অনেক সম্মান, ভালোবাসা বন্দী করেছে কুয়াকাটার সামাজিক সংগঠনগুলো। তরুণ, মেধাবী শহিদ দেওয়ান তার অনুভূতি ঘিরে এবং তার চিন্তা ভাবনায় তৈরি হচ্ছে ৭নং সুন্দর ও মডেল ওয়ার্ড। মহামারী করোনাভাইরাসের মাঝেও ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হয়েছে তার এলাকার জনগণের কাছে, ঈদ উপহার হাতে পেয়ে আনন্দের হাসি হেসেছে অসহায় পরিবার গুলো।
এসময় ঈদ উপহার গ্রহণ করা মোসাম্মৎ ময়না বেগম বলেন, লকডাউন এবং পবিত্র মাহে রমজান শুরু থেকে আমার এবং এলাকার সকল মানুষের ঘরে ঘরে এসে আমাদের দুঃখ কষ্টের কথা শুনছে, এবং তার সাধ্যমত আমাদের সহযোগিতা করছে আসছে, রমজান মাসে ঈদ নিয়ে চিন্তার মধ্যে দিন পার করছিলাম। আজ হঠাৎ করে রাতের আধারে এসে আমাকে বলল বোন তোর পরিবারের জন্য ঈদ উপহার, এই বিপদ কালীন সময়ে পরিবারের ঈদ উপহার হাতে পেয়ে নিজেকে অনেক আনন্দিত লেগেছে, এবং ময়না মনে করেছে একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি পেয়েছি আমরা।
তার কথার সাথে তাল মিলিয়ে মোহাম্মদ লতিফ তিনি বলেন, সৎ সাহসী একজন জনপ্রতিনিধি আমরা পেয়েছি যে নিজের সবটুকু দিয়ে তার জনগণকে ভালোবাসে তার প্রমান রাতের আধারে ঈদ উপহার দেওয়া। লতিফ আরও বলেন শুধু ঈদ-উপহার বলে না, জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগ থেকেই আমাদের সাথে সন্তানের মত চলাফেরা করেছেন এবং তার সৎ সাহসিকতা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
এদিকে কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাবের, সভাপতি, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, শহিদ দেওয়ান শুভ সংঘ ক্লাবের একজন সম্মানিত উপদেষ্টা যার উপদেশ দিয়ে কুয়াকাটার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে এই সংগঠনটি, জাহিদ আরো বলেন আমি শুনেছি সেই মহামারীর মধ্যেও তার এলাকার অসহায় পরিবারগুলোকে ঈদ বস্ত্র উপহার দিয়েছে, আমি বলব এমন সহযোগিতা তার জীবনে নতুন কিছু নয় সব সময় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে এসেছে মানুষের মাঝে।
ফোনের মাধ্যমে কাউন্সিলর শহিদ দেওয়ানের সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, আমি সব সময় আমার এলাকাসহ আমার আশেপাশে যারা রয়েছে সবাইকে নিয়ে চিন্তা ভাবনায় থাকি, আমি সবার পরিবারে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি যে, এবারে ঈদ বস্ত্র কেনার মত অনেকের কাছেই অর্থকরী নেই, তাই সবাইকে চিন্তিত দেখতে পেরেছি, আমার জনগণকে চিন্তিত দেখতে পেরে আমি নিজেই চিন্তায় পড়ে গেছি, শেষে নিজের সাধ্যমত সবাইকে ঈদ বস্ত্র উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি। আমি নিজে আনন্দিত যে আমার এলাকার মানুষের মুখে একটু হল হাসি ফুটাতে পেরেছি।