কুলাউড়া প্রতিনিধি :: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্র শিবির। বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলা শাখার ব্যানারে কুলাউড়ায় মানববন্ধন করা হয়। তবে থানা পুলিশ বলছে এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পৌরশহরের স্কুল চৌমুহনীতে নবীন চন্দ্র মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে সংগঠনের ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির’ ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে মৌলভীবাজার জেলা শাখার ব্যানারে কুলাউড়ায় মানববন্ধনের বিষয়টি প্রকাশ হলে এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিবিরের মানববন্ধনের বিষয়ে কিছুই জানি না।’
মানববন্ধনে ছবিতে দেখা যায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের মৌলভীবাজার জেলা শাখার ব্যানারে প্রায় ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নেতা রাজানুর রহিম ইফতেখারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবববন্ধনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উপজেলা শাখার সভাপতির নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
কারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কৌশলগত কারণে মানববন্ধনে কারা উপস্থিত ছিলেন সেটা বলা যাবেনা। সংগঠনের দায়িত্বরত কারো না প্রকাশ করতে পারবোনা।’
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কর্মী জানান, ইসলামী ছাত্র শিবিরের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি আলা উদ্দিন আহমদ, জেলা কলেজ সম্পাদক দিদার হোসেন, কুলাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, কুলাউড়া উপজেলা পশ্চিমের সভাপতি মুহিত হোসেন, উপজেলা সাহিত্য সম্পাদক রায়হান আহমদসহ সংগঠনের প্রায় ৪০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি আলা উদ্দিন আহমদের মোবাইলে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে আমরা মানববন্ধনে উপস্থিতিদের নাম প্রকাশ করছিনা। মানববন্ধনে জেলা শাখার আয়োজনে ৪৭ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।’
আওয়ামীলীগের এক নেতার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এরা কৌশলে আবারো সংগঠিত হচ্ছে। এরা কৌশলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের আড়ালে নিজেদের সংগঠনের কর্মীকে সংগঠিত করছে। কুলাউড়ায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে উদাসীন। প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো উচিত এদের কর্মকান্ডের বিষয়ে। নতুবা আবারো দেশে জামায়াত-শিবির মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে।