আবুল হোসেন রাজু,
কুয়াকাটা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।
উপকূলীয় এলাকায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় মাটির ক্ষয়রোধ, বেড়িবাঁধ সুরক্ষা ও সুফল প্রকল্পের আওতাভুক্ত সদস্যদের সুবিধায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১ লক্ষ গাছের চারা রোপণ করেছে উপকূলীয় বনবিভাগ, পটুয়াখালী।
শনিবার ( ৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় কুয়াকাটা সৈকতের
জিরো পয়েন্ট পূর্ব পাসে ঝাউবন এলাকায় এই বনায়নের উদ্ভোদন করেন কোস্টাল অঞ্চল বরিশাল বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. হারুন অর রশিদ খান। এছারাও উপস্থিত ছিলেন, উপকূলীয় বনবিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় তরুন ও গন্যমান্যরা।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে নতুনপাড়া পর্যন্ত সমুদ্র রক্ষা বেড়িবাঁধের দুইপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ২০টি সারিতে মোট একলক্ষ গাছের চারা রোপণ করা হবে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে এই চারা রোপণ শেষ করা হবে বলে জানায় বনবিভাগ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এখানে লাগানো হয়- ঝাউ, আকাশমনি, অর্জুন, তেতুল, ইপিল ইপিল, মেহগনি, শিশু, ঝাড়ুল, আমলকি, তেতুল সহ মোট ১৫ প্রজাতির গাছের চারা।
কোস্টাল অঞ্চল বরিশাল বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. হারুন অর রশিদ খান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সহ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়-ঝাপটায় প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে উপকূল তাই এই এলাকা ও সমুদ্র রক্ষা বেড়িবাঁধকে টেকসই করতে সরকারের সুফল প্রকল্পের আওতায় আজকের এই একলক্ষ গাছের চারা রোপণের আয়োজন। এতে একদিকে মাটিক্ষয় রোধ, ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা হবে অন্যদিকে এই সুফল প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০০ জন সুফলভোগীও ভালো থাকবে।