কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
কুয়াকাটায় আওয়ামী স্বৈরশাসনামলে বিএনপি নেতার দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে গেলে নানা রকম ষড়যন্ত্রের শিকার কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আঃ আজিজ মুসুল্লী।
আঃ আজিজ মুসুল্লী বলেন, ‘জে,এল ৩৪ নম্বর লতাচাপলী মৌজার এস,এ ১২২৭ নম্বর খতিয়ানের ৫১৭৮ ও ৫১৮০, বাটা ১০০০২ ও ১০০০৩ নম্বর দাগের অংশ হইতে সাড়ে ৩ শতাংশ, জমি সাব-কবলা খরিদ মূলে মালিক নিযুক্ত থাকি’। ‘পরবর্তীতে আমার ক্রয়কৃত জমিতে ভোগবান দখলকার নিযুক্ত থেকে দোকান ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়েছি’। ‘আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আঃ বারেক মোল্লা পটুয়াখালীর তৎকালিন মিলন কাউন্সিলরের স্ত্রী উম্মে সালমার নামে অন্য দাগ ও চৌহুদ্দিভুক্ত একটি দলিল এর বরাত দিয়ে ক্ষমতার দাপটে তার মালিকানা কাগজ পত্র (দলিল) না থাকা সত্বেও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমার জমি জবর দখল করে নেয়’। তার জমির দাগ ও চৌহুদ্দি এবং আমার জমির দাগ ও চৌহুদ্দি সম্পূর্ণ আলাদা। ‘গণঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন হলে সম্প্রতি আমার সাব-কবলা খরিদ সূত্রে মালিকানা জমি পুন:উদ্ধারে গেলে একটি স্বার্থান্বেসী মহল তথা রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত কিছু নেতা আওয়ামী দোসরদের দখল বাণিজ্যের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে প্রবাগন্ডা ছড়াচ্ছে’। ‘এতে আমাকে পড়তে হয়েছে বিপাকে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি ইচ্ছে করলে ৫ আগস্টের পর আমি আমার জমি দখলে নিতে পারতাম’। ‘দলের বদনাম হবে ভেবে আমি জমি দখল মুক্ত করতে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশের আশ্রায় নেই। ‘সেখানে কোন ফল না পেয়ে কুয়াকাটা পৌর প্রশাসকের বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত করি’। ‘পৌর প্রশাসক তারিখ নির্ধারণ পূর্বক উভয় পক্ষের কাগজ পত্র নিয়ে বসার জন্য ডাকেন’। ‘সেখানে বারেক মোল্লা কয়েকটি তারিখ কালক্ষেপন করে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখের একটি ভুয়া দলিল উপস্থাপন করেন গ্রহীতা বেল্লাল মোল্লার নামে’। ‘জমি ভোগ করছেন বারেক মোল্লা, দলিল দেখান বেল্লাল মোল্লার’। ‘সেখানেও যেমন ভেলকিবাজি, দলিলও তেমন ভুয়াবাজি’। ‘৫ আগস্টের পর ২০২৪ সালের জাল জালিয়াতির দলিল উপস্থাপন করে এতদিন ওই জমি ভোগ করেছেন কিসের বলে’। ‘এটা দ্বারা প্রমাণিত হয় বেল্লাল মোল্লার নামে ভুয়া দলিল করে লুটপাট করে খেয়েছেন বারেক মোল্লা’। ‘সম্প্রতি আমি আমার বৈধমালিকানার জমি বুঝ নিতে গেলে বেল্লাল মোল্লা জমির ধারে কাছে না গেলেও বিতর্কিত নেতাদের ঘুম হারাম হয়েগেছে’। ‘তার মানে হচ্ছে ‘যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই’ এমন প্রবাদ বাক্যের মত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে কুচক্রি ওই মহল আমার পিছু নিয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন’। কিছু সংবাদ কর্মী রয়েছেন, যারা সত্য মিথ্যা যাছাই না করে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার দিয়ে ভাইরাল হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে’। ‘দেশের চতুর্থ স্তম্ভ জাতির বিবেক সাংবাদিকদের প্রতি আমার অনুরোধ বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবেন’। অন্যথায় এর কারণে একসময় জাতি পড়বেন বিপদে, বিপদে পড়বেন দেশের সর্ব স্তরের জনসাধারণ।
আঃ আজিজ মুসুল্লী আরও বলেন, ‘আমার প্রয়াত বাবা ওয়ারেচ আলী মুসুল্লী শত শত একর জমির মালিক ছিলেন, আমি বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করেছি’। ‘আমি লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি’। ‘চেয়ারম্যান হওয়ার আগে আমার সম্পত্তির খোজ খবর নিন এবং চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার সম্পত্তির অনুসন্ধান করুন’। ‘অপরদিকে আমার পরবর্তী যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাদেরও আগের ও পরের সম্পত্তির খোজ খবর নিন, তাহলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে’। ‘কে দখল বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলছে’। ‘আমি আওয়ামী স্বৈরশাসনামলে রাজনীতি করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, বাবার দেয়া সম্পত্তি হারিয়েছি, আর এখন দলের মধ্যে হাইব্রিড নেতাদের যন্ত্রনায় অস্থির।