আবুল হোসেন রাজু,
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিভিন্ন পাড়ায় মন্দির রক্ষায় মাঠে নেমেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিন ও রাত জেগে পাহারার পাশাপাশি কীভাবে সংকট দূর করা যায় সে বিষয়ে করা হয়েছে মতবিনিময় সভাও।
বিএনপি নেতারা বলছেন,মন্দিরগুলোতে আ.লীগের নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে এমন খবর পেয়েই মাঠে নামানো হয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয় সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির নির্দেশনায় আমরা বিভিন্ন মন্দিরে পাহারা দিয়েছি
বিএনপি নেতারা। এ সময় বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি মন্দিরের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ আজিজ মুসল্লী বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি এলাকার মন্দিরগুলোতে হামলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই কুয়াকাটা এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে পাহারা দিচ্ছি আমরা। দলীয় নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে রাত-দিন পাহারা দেওয়ার জন্য। আবার কেউ অত্যাচার-নির্যাতন করতে এলে তরুণরা রুখে দেবে’
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টা করে। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হলেও ভিন দেশীয় ইন্ধনে তাদের প্রেতাত্মা ও দোসররা নানারকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।
এবিষয়ে কালাচাঁনপাড়া মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি আংচোশান বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভাসহ আমাদের এরিয়ায় ১১ টি মন্দির রয়েছে আমাদের এখানে কোনো মন্দিরেই হামলা হয়নি। এসময় তিনি মন্দির রক্ষা কমিটির পাশাপাশি বিএনপি নেতাদের ধন্যবাদ জানান।।###