পটুয়াখালী প্রতিনিধি\ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়া দোকান সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাল মিয়া (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরের মা চানবরু বেগম (৫৫) ও তার ফুফাতো ভাই আলী আকবরকে (১২) আহত হয়েছে। আহতদের বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা এখন শংকামুক্ত। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াকাটা বেড়িবাঁধের বাইরে টুরিস্ট পুলিশ বক্সের পশ্চিম পাশে সি-বিচ সংলগ্ন মো. মোস্তফা মিয়ার ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লাল মিয়া ওই এলাকার মাছ কিক্রেতা মোস্তফা মিয়ার ছেলে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিড়ে এঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্র্শীরা জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার লাল মিয়াকে (১৭) মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজন চানবরু ও আলী আকবরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার সময় চানবরু, লাল মিয়া ও আলী আকবর ফিস ফ্রাইয়ের কাজ করছিল। ইতোমধ্যে পুর্ণিমার জোয়ারে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দোকানের সন্নিকটে পানি চলে আসে। ফলে তারা তাদের ভাসমান দোকান অন্য স্থানে স্থানান্তর করতে গিয়ে দোকানের সাথে থাকা অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিঁড়ে পানির মধ্যে পরে পানি বিদ্যুতায়িত হলে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশে কুয়াকাটা বেড়িবাঁধের বাইরের সৈকতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে সাইড লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে মোটা অংকের টাকা প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে। যার খেসারত হিসাবে প্রাণ গেলো লাল মিয়া নামের ওই যুবকের। তারা আরও জানান, প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে সৈকতে। এসব সংযোগ থেকে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। ###