বিপিএলে যখন খেলার সুযোগ পেলাম না, তখন থেকে অনেক পরিশ্রম করেছি। গত ৮ মাস ধরে অনেক চেষ্ঠা করেছি। বিসিএলে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে মোটামুটি ভাল খেলতে পেরেছি।
গত আড়াই মাস ধরে ইমরান স্যার ( কোচ সারওয়ার ইমরান) আমাকে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। উনি এই সময় বাসায় ফ্রি ছিলেন বলে আমার লাভ হয়েছে। করোনার সময়ে আমি যখন ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করি,তখন স্যার নিজ উদ্যোগে হেল্প করেছেন।
এর জন্য ইমরান স্যার এক কানাকড়িও নেননি। প্রথমে ধানমন্ডী ৪ নম্বর মাঠ এবংশেখ জামাল ধানমন্ডী ক্লাব মাঠে ক’দিন প্র্যাকটিস করার পর ওখানে আর প্র্যাকটিস কন্টিনিউ করতে পারলাম না। চলে এলাম বনশ্রীতে আমার বাসার পাশে আফতাব নগরে।
ইমরান স্যার কষ্ট করে সেখানে চলে এসেছেন ! সেখানে সপ্তাহে তিন দিন এসেছেন স্যার। শুধু আমি একাই নই, ওখানে শাহবাজ চৌহান,নাবিল সামাদ,রবি,বিপ্লব সহ ১৮-২০ জন ক্রিকেটার নিয়মিত এসে ইমরান স্যারের তালিম নিয়েছে। গত দেড় মাসে ম্যাচের মধ্যে ছিলাম। সিটি ক্লাব মাঠ এবং আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে প্রচুর প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি।
রাজশাহী প্লেয়ার্স ড্রাফটে আমাকে থার্ড কলে নিয়েছে। এজন্য আমি রাজশাহীর স্পন্সরদের কাছে কৃতজ্ঞ। চেষ্ঠা করব রাজশাহীর জন্য সর্বোচ্চ দিয়ে খেলার। তাদের আস্থার প্রতিদান দেয়ার। সুযোগ পেলে রাজশাহীকে রেজাল্ট দিতে চেষ্টা করব।
আমাদের দলে ‘এ’ ক্যাটাগরীর কোন ক্রিকেটার নেই। দলে এই সময়ের তারকা ক্রিকেটারের সমাবেশ নাই। তা ঠিক। তবে দলটি ভারসাম্যপূর্ন। দলে বেশ ক’জন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন। তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরমার। নাজমুল হোসেন শান্ত এখন ভাল ফর্মে। সাইফউদ্দিন এবং ফরহাদ রেজার মতো দেশের ২ জন পরীক্ষিত পেস অল রাউন্ডার আছে। বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানি, সানজামুল সব সময়ই ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল বোলার।
রনি তালুকদার ,রকিবুল,সোহান,ফজলে রাব্বী কার্যকরী ব্যাটসম্যান। ইমরান স্যার এই ধরনের দলই পছন্দ করেন। স্যার যেহেতু রাজশাহীর কোচ, সেহেতু স্যারের সাথে বোঝাপড়ার জন্য সময় নিতে হবে না আমার।
আমি সব কিছু নতুন করে শুরু করতে চাই। বলতে পারেন শুন্য থেকে। আমি যেনো আমার সেরাটা দিয়ে খেলতে পারি, আমার জন্য সে দোয়া করবেন।