জি.এম.সবুজ,বার্তা সম্পাদকঃ
‘বিদ্যানন্দ’ আর্তমানবতার সেবায় এক অনন্য নাম। দেশের ক্রান্তিকালে ‘বিদ্যানন্দ’ ফাউন্ডেশনটি যেভাবে সহযোগিতা করছে সেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
‘বিদ্যানন্দের’ ধারাবাহিক সহযোগিতার এ পর্যায়ে ছিল দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী ‘কুয়াকাটার’ অসহায় জেলেদের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে জেলেদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন ‘কুয়াকাটা সোসাইটি’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। জানা যায়,’কুয়াকাটা সোসাইটির’ সভাপতি দেশের অন্যতম বৃহৎ স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলাভিশনের বার্তা-সম্পাদক ‘বদরুল আলম নাবিল’-এর উদ্যোগে ‘বিদ্যানন্দের’ খাদ্যসামগ্রী কুয়াকাটাতে আসে।
আজ ১৯/০৬/২০ তারিখ(শুক্রবার) বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় ‘কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ প্রাঙ্গণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র এবং পৌর আওয়ামীলিগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা,বাংলাভিশনের বার্তা-সম্পাদক এবং ‘কুয়াকাটা সোসাইটির’ সভাপতি বদরুল আলম নাবিল,কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান,কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃপান্না মিয়া হাওলাদারসহ কুয়াকাটা পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংবাদকর্মী এবং কুয়াকাটার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীগণ।
বাংলাভিশনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম মিরন ‘ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠান’-এর সঞ্চালনা করেন।
জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা ‘প্রগতি২৪’-কে বলেন,”কুয়াকাটার অসহায় জেলেদের মাঝে যাদের মাধ্যমে সহযোগিতা এসেছে তাঁরা নিঃসন্দেহে পরোপকারী মানুষ।’ ‘এই সহযোগিতার মাধ্যমে জেলেদের দু’মুঠো আহারের ব্যবস্থা হলো’ তিনি যোগ করেন।
বাংলাভিশনের বার্তা-সম্পাদক এবং কুয়াকাটা সোসাইটির সভাপতি বদরুল আলম নাবিল বলেন,”দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষের কল্যাণে কিছু করতে পারাটাই সবচেয়ে আনন্দের।আমরা আজ কুয়াকাটার তিনশত জেলেদের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।আমাদের এই সহযোগিতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি কুয়াকাটার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন(কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব,কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাব,কুয়াকাটা তরুণ ক্লাব,কুয়াকাটা বয়েস ক্লাব,জন্মভূমি কুয়াকাটা)-এর স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁর কাজে সহযোগিতার জন্য।
উল্লেখ্য বিদ্যানন্দের ত্রাণসামগ্রীতে চাল,ডাল,সুজি,ময়দাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ছিলো।