ক্রিয়া প্রতিবেদকঃ বুধবার রাতে ক্যারিয়ারের ৩০তম শিরোপার খোঁজে কোপা ইতালিয়ার ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। তার দল জুভেন্টাসের লক্ষ্য ছিলো ৩১তম কোপা ইতালিয়ান শিরোপা। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ নাপোলির লক্ষ্য একটাই, চাই শিরোপার স্বাদ।টাইব্রেকারের পঞ্চম শটটি নেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। হয়তো শেষ শটটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেবেই দল থেকে নেয়া হয়েছিল এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু পাওলো দিবালা ও দানিলোর ভুলে চার শটেই ম্যাচ হেরে যায় জুভেন্টাস। ফলে আর টাইব্রেকারে শট নেয়া হয়নি রোনালদো।রোমের ফাইনাল ম্যাচে প্রায় পুরোটা সময় আধিপত্য বিস্তার করেছে নাপোলিই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস সে অর্থে তেমন কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। দলের সেরা তারকা রোনালদো পুরো ম্যাচে শট নিতে পেরেছেন মাত্র ৩টি, যার দুইটিই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। অন্যটি ফিরিয়ে দিতেও খুব একটা বেগ পাননি নাপোলি গোলরক্ষক।সবশেষ ২০১৩-১৪ মৌসুমের কোপা ইতালিয়া জিতেছিল ঐতিহ্যবাহী দল নাপোলি। এরপর আর কোন শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। অবশেষে ছয় বছর পর ২০১৯-২০ মৌসুমের কোপা ইতালিয়া দিয়েই কাটল শিরোপা খরা। ফাইনাল ম্যাচে গোলশূন্য ড্র’র পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে নাপোলি।বিরতির ঠিক আগে দিয়ে ফের আক্রমণে ওঠেন ইনসিগনে, এবারও রক্ষাকর্তা বুফন। তবে তিনি দলকে বড় বাঁচা বাঁচিয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত যোগ সময়ে। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে খুব কাছ থেকে হেড করেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার নিকোলা মাকসিমোভিচ। বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকান বুফন, ফিরতি বলে আবার শট হয়। সেটিও ঠেকিয়ে কোনমতে জাল অক্ষত রাখেন বুফন।বারবার নাপোলির আক্রমণ থেকে নিজেদের জাল অক্ষত রাখেন আগামী জানুয়ারিতে ৪৩ বছর পূর্ণ করতে যাওয়া জুভেন্টাস গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। ম্যাচের ২৬ মিনিটে অবশ্য পান ভাগ্যের সহায়তা। লরেন্সো ইনসিগনের ফ্রি কি বাধাপ্রাপ্ত হয় সাইডবারে।ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে নায়ক নাপোলি গোলরক্ষক মেরেট। জুভেন্টাসের প্রথম শট নেন পাওলো দিবালা, ঠেকিয়ে দেন মেরেট। দ্বিতীয় শটে বারের অনেক ওপর দিয়ে মারেন দানিলো। অন্যদিকে টানা চার শটে গোল করে শিরোপা উল্লাসে মাতে নাপোলি। তখনও বাকি ছিলো রোনালদোর পঞ্চম শটটি।