খোকনের সাধ
- তাপস ওঝা
- প্রভাষক,যুক্তিবিদ্যা বিভাগ আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ।
ধুলাসার,মহীপুর ,পটুয়াখালী
লেখা-পড়ায় মন বসেনা,খোকন সোনামনির।
রাজনীতি করে হতে চায়,তাড়াতাড়ি ধনী।
তাইতো খোকন আবদার নিয়ে বাবার কাছে যায়।
বাবা,রাজনীতি করব তোমার মতো,শেখাও না আমায়।
রাজনীতিবিদ বাবা তখন রেগে অগ্নিশর্মা-
লেখা-পড়া ছেড়ে ধরছো, রাজনীতি শেখার বায়না?
নাছরবান্দা খোকন তখন,ধরল অনেক আড়ি-
ভাত খাবোনা এখনই আমি ছেড়ে যাব বাড়ি।
খোকনের মা উঠে বলে শুনো আমার পতি।
খোকন যদি চলে যায় কি হবে গতি?
বর্তমান জামানায় অনেকেরই আশা।
লেখা-পড়া শিখুক না-ছাই,ছেলে যেন হয় নেতা।
লেখা-পড়া জেনে কত চাকরি মেলেনা।
ছেলে নেতা হলে সুখের অন্ত থাকেনা।
খোকার মাকে ধমকদিয়ে,আবার পেলো ভয়।
একটিমাত্র ছেলে মোদের যদি চলে যায়!
রাজনীতিবিদ ডেকে বলে খোকন এদিক আয়।
মনের সাধ পূরন করতে কিছু নিয়ম মানতে হয়।
আনন্দেতে খোকন বলে বাবা কিকরতে হবে?
এখই তোকে যেতে হবে গহীন বনের মাঝে।
মঞ্চ বানিয়ে মগডালে তোর উঠতে হবে।
সেকি বাবা! রাজনীতি কি থাকে গাছের ডালে?
চুপ খোকন!এটাই হলো রাজনীতি শেখার মানে।
দেখছিস খোকন নেতার ভাষন,জনতার মঞ্চে?
মঞ্চ থাকে উচুতে আর জনতারা নিচে।
তেমনি ভাবে তোকে এবার উঠতে হবে ডালে।
রাজনীতি শিখবি খোকন, যদি থাকে ভালে।
বাবার কথায় খোকন সোনা উঠল মগডালে।
ভয়ে ভয়ে তাকায় খোকন বারে বারে পিছে।
উঠছি বাবা আর পারছিনা যাব কিন্তু পড়ে।
হবেনা খোকন রাজনীতি শিক্ষন, উন্নত নয় মন।
তাইতো বলি রাজনীতি শেখার, দরকার নেই এখন।
উঠছি বাবা দাড়াও সোজা একদম আমার নিচে।
হঠাৎ যদি পড়ে যাই,ধরো আমায় এসে।
ধরবো খোকন আছিতো এখন,ভয় করছিস মিছে।
রাজনীতিবিদ বাবা তোর দাড়িয়ে আছি নিচে।
অনেক দিনের সাধ বাবা!বলো, কি করতে হবে?
এবার হাত নাড়িয়ে ভাষন দাও জনতার উদ্দেশ্যে।
বলকি বাবা,প্রান যাবে মোর,ভাঙ্গবে হাত পাও!
রাজনীতি শেখা হবেনা খোকন বাড়ি ফিরে যাও।
বলছি বাবা মেরো থাবা,যদি পড়ে যাই।
প্রিয় বন্ধু গন, বলে খোকন যেই নাড়িল হাত।
নিচ থেকে সরে দাড়ালো, রাজনীতিবিদ বাপ।
সত্যিই খোকার পড়ে ভাঙ্গল পাজর,কোমর,হাত।
চিৎকার করে কাদছে খোকন,ওরে বাপরে বাপ!
মিটে গেল বাবা আমার রাজনীতি শেখার সাধ।
লেখা পড়া কররে খোকন,শিখিস পরে মনের মতন-,
বুঝলি খোকা, কেমন ধোকা,একেই বলে রাজনীতি শেখা।