বশির আহমেদ রুবেল চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
২৫ মার্চ শনিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০২৩” উপলক্ষে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিষদ(পাবকপ্রবাপ)”।এর উদ্যোগে সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রধান অতিথি, মফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি এবং শওকত বাঙালি প্রধান বক্তা হিসেবে উপর্যুক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি হিসাবেখ্যাত পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্য আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ১.৭৫ একর জমিতে ৯ বছর পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প অধ্যাবদী বাস্তবায়ন না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসাবে উক্ত কর্মসূচী পালন করা হয়।যে কোন মূল্যে পাহাড়তলী বধ্যভূমি উদ্ধার এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে যুথবদ্ধ আন্দোলনে নেতৃবৃন্দের একাত্মা প্রকাশ।চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা এটিএম পেয়ারুল ইসালাম বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেছেন, চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে সাথে নিয়ে যে কোন মূল্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাতেই চূড়ান্ত বার্তা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ নয় বছর এটি বাস্তায়ন না হওয়ার পেছনের ইতিহাস জানা দরকার। সবাইকে নিয়ে অচিরেই আন্দোলনের রুপরেখা তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি জননেতা মফিজুর রহমানও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, যাঁদের জীবনের বিনিময়ে দেশ নির্মিত হয়েছে, তাঁদের রক্তের উপর কোন প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ পরিচালনার ন্যুনতম অধিকার নেই। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, যুথবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় আমাদের জানা আছে।মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থেকেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কেনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না, কে বা কারা এসবের সাথে জড়িত এবং তারা কত শক্তিশালী তা জাতি জানতে চায় ও দেখতে চায়।পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী গণসম্মিলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।পরিষদ সদস্য মো. সেলিম বাদশার পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান ও মো. রেজাউল হোসেন সুজা, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, রাজনীতিক দীপংকর চৌধুরী কাজল, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা.বিদ্যূৎ বড়ুয়া, ”পাবকপ্রবাপ”- এর আহ্বায়ক নাট্যশিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা ও সদস্য সচিব শহীদ পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন আঙ্গুর সহ আর অনেকেই।