তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শনিবার (০৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ৪০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পত্তন ইউনিয়নে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সড়কের পাশের জায়গায় গরুর খামার তৈরি করছিলেন এলাকার প্রভাবশালী জাকির হোসেনের সমর্থক নিলুমিয়া। এতে বাধা দেয় পত্তন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম উদ্দিনের সমর্থকেরা। এ সময় তাদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে এ নিয়ে মনিপুর বাজারে সেলিম উদ্দিনের সমর্থকদের ওপর জাকির হোসেনের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। পরে সেলিম উদ্দিনের সমর্থকেরাও পাল্টা হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পরে বিজয়নগর থানাপুলিশ ঘটনার স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে পত্তন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সেলিম উদ্দিন জানান, শেখ হাসিনা সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গরুর খামার নির্মাণ করে মাদকব্যবসা করে আসছিল জাকিরের সমর্থক নিলু মিয়া ও তার লোকজন। এ ঘটনায় বাঁধা দেয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকিরের লোকজন মনিপুর বাজারে তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেন।
অপর দিকে জাকির হোসেন জানান, তার পক্ষের নিলু মিয়া নিজের জমির গরুর খামার তৈরি করেছেন। বিকেলে খামারে গরু দেখতে গেলে সেলিম উদ্দিনের লোকজন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে লিলুমিয়া ও তার লোকজনকে গরুর খামার সরিয়ে নিতে বলেন। এক পর্যায়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কত্যর্বরত চিকিৎসক ডা. আরিফুর রহমান জানান, আহতদের অনেকের শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তবে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র- সময় নিউজ