এস মন্ডল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
গান বাজনা,লটারী খেলাসহ আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১১ বছর পর ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ৩ ফেব্রæয়ারী। সেখানে ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির পুর্বের সকল কমিটি বিলুপ্তি করে ৩ সদস্যের একটি নির্বাচন পরিচারনা কমিটি গঠন করা হয়। সেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মেয়াদকাল প্রায় শেষের দিকে। এখন পর্যন্ত থানা ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোন পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায়। বাজারের প্রায় ৭৫ জন ব্যবসায়ী সকল পদে নির্বাচন চেয়ে ও বর্তমান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মেয়াদের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা চেয়ে দিনাজপুর শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক মোঃ আবুল বাসার বরাবর একটি আবেদন জমা দেন। শ্রম অধিদপ্তর চলমান রমজানের মধ্যেই নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিলেও আমলে নিচ্ছে না ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এতেই ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির নিবন্ধন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
শ্রম অধিদপ্তরে অভিযোগকারীগরেন মধ্যে লিলি বস্ত্রালয়ের মালিক আব্দুল কুদুস বলেন, প্রতিটি সংগঠনের নির্বাচন কমিটি গঠন করার পর পুর্বের কমিটির কোন কাজ থাকে না। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মেয়দ চলাকালে তারাই সংগঠনের বিষয়ের দেখভাল করে থাকে। সকল সদস্যদের সহায়তায় ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ যাবতিয় কাজ করে থাকেন কিন্তু আমরা দেখছি ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী পূর্ণ গঠন কমিটি নামে একটি কমিটি থানা ব্যবসায়ী কমিটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটা কেমন কথা। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে প্রায় ৪৮দিন। এখন পর্যন্ত তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা দেন নাই এর কারন আমরা বুঝতে পারছিনা।
অভিযোগকারী কবির ফ্যাশানের মালিক কবির বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের মেয়দ শেষ হতে চলছে অথচ তারা কোন তফসিল দিচ্ছেনা। আমার মনে হয় তারা তাদের মনগড়া কমিটি তৈরী করার চেষ্টা করছে। এমন হলে আমরা তা মেনে নিবোনা। এমন কথা বলেন ব্যবসায়ী বসুন্ধরা গার্মেন্ট এর মালিক রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
এবিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক শেখ সাবির আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে ঈদ তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা দেওয়া সম্ভব হয় নাই। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মেয়দকাল শেষ হলে কিভাবে তফসিল ঘোষনা দিবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের কথায় আমরা ব্যবসা করি না। তাদের নিয়মের ভিতরে আমরা না থাকলে তারা আমাদের নিবন্ধন বাতিল করে দেবে, তাকে আমার কিছু যায় আসে না। আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র হারিয়ে গেছে,ভোটার তালিকা তৈরী করতে হবে। আমরা তিনজন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এখনো চুড়ান্ত সিন্ধান্ত নিতে পারি নাই।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা না দেয় সে ক্ষেত্রে শ্রম অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কি কি পদক্ষেপ থাকবে দিনাজপুর শ্রম অধিদপ্ততরের শ্রম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের নিবন্ধিত কোন সংগঠন নির্বাচন পরিচালনাা কমিটি গঠন করে ঘোষনা দেয়, সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মেয়াদ ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। যদি সেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে ব্যার্র্থ হয় তাহলে পুণরায় সাধারন পরিষদের সিন্ধান্ত নিয়ে নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। সংগঠন যদি শ্রম অধিদপ্তরের নির্ধারিত কাঠামোর মধ্যে না থাকে তবে আইন আনুযায়ী আমরা তাদের নিবন্ধন বালিত চেয়ে কোটে একটা মামলা দায়ের করবো। এর পর সব প্রক্রিয়ায় আইনের মাধ্যমে চলবে।