জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //-পটুয়াখালী কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ আতঙ্কে পর্যটক কমছে, এমনটাই ধারণা করছে কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে বছরের সব দিনের তুলনায় দুর্গাপূজা সহ সরকারি বিভিন্ন ছুটিতে হাজারো পর্যটকে মুখরিত থাকে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলা ভূমির সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায়। তবে দুর্গাপূজার লম্বা ছুটি থাকা শর্ত ঘূর্ণিঝড় হামুন আতঙ্কে আবাসিক হোটেল বুকিং বাতিল হচ্ছে এবং আগত পর্যটকরা ও কুয়াকাটা ছেড়ে নিজ গন্তব্যে ছুটে চলছে।আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সমুদ্র সৈকতের রুপ ভিন্ন, পুরো সমুদ্র সৈকটটি ঘুরেও ২০% পর্যটকের দেখা মেলেনি। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন আতঙ্কে ও সোমবার সকাল থেকেই মেঘলাচ্ছন্ন আকাশ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকার কারণে ভ্রমণের স্বাদ ভুলে গেছে পর্যটকরা, এমনটাই ধারণা করছেন, কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কানসাইনের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী জানান, দুর্গাপূজার ছুটি উপলক্ষে কিছু রুম বুকিং এর সারা ছিল, তবে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আতঙ্কে সব বুকিং বাতিল হয়েছে। আমার মত অধিকাংশ হোটেলেই এই ঘটনা ঘটেছে।মুঠোফোনে পর্যটক এর সাথে কথা বলে জানাযায়, কুয়াকাটা ভ্রমনে আসার সকল পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছিল, এবং রুমও বুকিং দিয়েছিলেন তবে ঘূর্ণিঝড়ের খবরে পুরো ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘হামুন’। মোংলা বন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। পায়রা বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘হামুন’।পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।আর এদিকে কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা ধারনা করছেন, ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে যে ক্ষতির মুখে পড়ছে এই ক্ষতিপুষে উঠতে অনেক সময় লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড় শেষে আবারো পর্যটকে ভরপুর হয়ে উঠতে কুয়াকাটা।