ছাগল নিয়ে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রতিবেশীর দায়ের কোপে মনিরুজ্জামান (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের পৌর শহরের নওধার গ্রামের লেকেরপাড় নামক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ সময় গুরুতর আহত হন নিহতের বাবাসহ ওই পরিবারের তিন সদস্য। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌর শহরের নওধার গ্রামের লেকেরপাড় নামক এলাকার রইছ উদ্দিন মাস্টারের একটি ছাগল ছানা পাশের বাড়ির আনোয়ার হোসেন আনুদের আঙিনায় গেলে লাঠির আঘাতে পা ভেঙে ফেলে আনুর স্ত্রী। ছাগলের পা ভাঙার ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বাঁধে সংঘর্ষ। সংঘর্ষকালে আনোয়ার হোসেনের ছেলে এনামুল, আরিফুল, শরিফুল, আশরাফুল ও কাউছারসহ অন্যরা রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন রইছ উদ্দিন মাস্টার, মাস্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান, মাসুদুজ্জামান বাচ্চু ও মেয়ে নার্গিস আক্তার।
পরে প্রতিবেশী ও স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। দুপুর দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহতদের মধ্যে রইছ উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
ওই ঘটনায় আনোয়ার হোসেন, তার ছেলে এনামুল, আরিফুল, শরিফুল, আশরাফুল ও কাউছারকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে আশরাফুল ও কাউছার পুলিশি প্রহরায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় নিহতের ভাই মাসুম বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে মনিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, তুচ্ছ ঘটনায় মনিরুজ্জামান খুনের ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সূত্র-যমুনা নিউজ