পীরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
13 আগষ্ট 2020 খ্রিঃ সকাল 11.00 ঘটিকার সময় রংপুর রেঞ্জ অফিস সম্মেলন কক্ষে, রংপুর রেঞ্জের 2020 সালের মাসিক অপরাধ সভায়, জনাব দেবদাস ভট্টাচার্য বিপিএম, ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর মহোদয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ এর সকল ইউনিটের সাথে সংযুক্ত হয়ে আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
উক্ত ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠান শেষে, সকল অফিসার ইনচার্জ গণের সাথে বিশেষ মতবিনিময় সভা করেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, #জনাববিপ্লবকুমারসরকারবিপিএম (#বার) #পিপিএমপুলিশসুপার_রংপুর।
শুরুতেই পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয় বলেন, বাঙালির ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সবচেয়ে ভয়াবহ, বর্বোরোচিত হত্যাকান্ড ঘটেছিল সেই দিন। বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব তার চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্তিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শানিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পুলিশ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছে। যতদিন এ দেশ থাকবে, এ জাতি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পুলিশ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছে। বর্তমান পুলিশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পুলিশ।
ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে অফিসার ইনচার্জ গণের সাথে মতবিনিময় করার সময় পুলিশ সুপার মহোদয় আরো বলেন মূলতবী মামলা সমূহের তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে নিষ্পত্তি করার জন্য বিবিধ নির্দেশনা প্রদান করেন, সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় আরও বেগবান হয়ে সেবাদান চলমান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান একই সাথে কোন অফিসারের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের অভিযোগ পেলে ছাড় দেয়া হবেনা জানান। থানা এলাকায় কোন প্রকার সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ বৃদ্ধি না পায় এবং ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে কোথাও যেন কোন প্রকার নাশকতামূলক কর্মকান্ড না ঘটে সেদিকে নজরদারী বাড়ানোসহ দৃশ্যমান পুলিশিং এর জন্য সকলকে জোর আহ্বান জানান। উভয় থানা এলাকায় বিট পুলিশিং ব্যবস্থা জোড়দার করার জন্য বিট অফিসারদের প্রতি মনিটরিং বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) রংপুর, জনাব মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি- সার্কেল) রংপুর, জনাব মোঃ আশরাফুল আলম পলাশ, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) রংপুর এবং জনাব মোঃ আরমান হোসেন পিপিএম (সি-সার্কেল), রংপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারের বিকল্প নেই।