ঋতু পরিবর্তনের এই সময় অনেকেই সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে যেহেতু এখন গোটা বিশ্বে করোনা মহামারি আকার ধারন করেছে এ কারণে সামান্য সর্দি-জ্বরেই সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে সর্দি জ্বরের যা লক্ষণ, একই লক্ষণ করোনারও। এজন্য করোনা না সাধারণ জ্বর তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে ৩০-৫০ লাখ মানুষ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজারের মৃত্যু হয় শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত অসুখ থেকে। ঘরে থেকে বিশ্রাম নিয়ে বা ওষুধ খেয়ে এই সব সমস্যা কমে যায়। কখনও আবার ২ সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু করোনা এমনই এক ভাইরাস যার নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এখনও বার হয়নি। এ কারণে এটি চিন্তিত করে তুলেছে গোটা বিশ্বকে।
সাধারণ জ্বর, ঠাণ্ডা লাগার থেকে করোনা অনেক বেশি বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অজানা বিপদ আখ্যা দিয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের বেশিরভাগের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। কারও এর সঙ্গে থাকে শুকনো কাশি, ক্লান্তিভাব, পেশিতে ব্যথা থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশি বা সর্দির লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব নয়, তা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা না করোনাভাইরাস। তবে করোনা হলে জ্বর বাড়তে থাকে দ্রুত। এছাড়া কাশি, ক্লান্তি, গায়ে ব্যথার পাশাপাশি কখনও কখনও বমিও হতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়াও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাধারণ সর্দি, জ্বর হলে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। যদি জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর যদি জ্বর বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে অবশ্যই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সূত্র-সময় নিউজ