রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য আবারো আয়োজন করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২০ মঙ্গলবার এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী শীর্ষ ৩০ সংগঠনের ভার্চুয়ালি নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়।
অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা ক্যাটাগরিতে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন এবছর জয় বাংলা ইউথ এ্যাওয়ার্ড লাভ করে।
অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। শিক্ষা, চিকিৎসা, জীবিকা ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের ৩২টি জেলাতে কাজ করছে অভিযাত্রিক। বর্তমানে তাদের ৩টি স্কুল, একটি বোট এ্যাম্বুলেন্স চলমান রয়েছে। ২০১৬ থেকে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে চালু করে জীবিকা প্রকল্প সক্ষম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যাকাত এবং বিভিন্ন অনুদান ব্যবহার করে জীবিকা প্রকল্প তৈরি করে দেয় এবং যার ফলে গত ৪ বছরে বাংলাদেশের ৭টি জেলায় ৫৩০টি পরিবারকে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী করেছে। এবছর জয় বাংলা ইউথ এ্যাওয়ার্ডে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আহমেদ ইমতিয়াজ জামি, প্রেসিডেন্ট, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার গ্রহন করেন।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য এবার ৬০০টির বেশ সংগঠন আবেদন করে। এদের মধ্যে প্রাথমিক তালিকায় থাকা সংগঠনগুলোর মধ্য থেকে নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদক মুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে এবার মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল- নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো- মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নসরুল হামিদ এমপি, ট্রাষ্টি, সিআরআই, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।