ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের স্থানীয় চৌকিদার কর্তৃক হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তনুশ্রী দাড়িয়া প্রান্তিকা। তনুশ্রী দাড়িয়া উক্ত ইউনিয়নের তাড়াবুনিয়া গ্রামের অধিবাসী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী
কিছুদিন আগে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় চৌকিদার অসীম শিকদার ইউপি চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে তনুশ্রী দাড়িয়ার মায়ের কাছে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি চান। তনুশ্রীর মা এর কারন জিজ্ঞেস করলে চৌকিদার অসীম শিকদার মিথ্যা অজুহাত দেখান। তনুশ্রীর মা চৌকিদারকে আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করেন। কিছুদিন পর চৌকিদার অসীম শিকদার পূণরায় তনুশ্রীর বাড়িতে এসে পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে বলেন কিন্তু তনুশ্রী চৌকিদারের বদ মতলব উপলব্ধি করতে পেরে তার মাকে ছবি দিতে বারণ করেন এবং তারা ছবি প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন। চৌকিদার ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ছবি সংগ্রহ করেন।
তনুশ্রীর ফ্যামিলি আর্থিকভাবে কিছুটা অস্বচ্ছল হওয়ায় এবং করোনার মহামারীতে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় সরকারী সহায়তার উপর কিছুটা নির্ভরশীল ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা জানতে পারে চৌকিদার অসীম শিকদার তার মায়ের আইডি কার্ড ও ছবি ব্যাবহার করে তাদের অগোচরে ভিজিডিং কার্ড তৈরী করেন এবং চাল উত্তোলন করে নিজে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানার পরে তনুশ্রী দাড়িয়া এর প্রতিবাদ করেন। চৌকিদার অসীম শিকদার বিষয়টি জানতে পেরে তনুশ্রীর বাড়িতে এসে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন এবং তাদের সাথে মারমুখী আচরণ করেন। তনুশ্রী অশ্রুসিক্ত হয়ে প্রগতি ২৪ কে এই ঘটনার বিবরণ দেন এবং অভিযুক্ত চৌকিদার অসীম শিকদারের বিচার দাবি করেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।