17.5 C
Bangladesh
Sunday, December 22, 2024
spot_imgspot_img
Homeআইন ও আদালতডাকাতি সংঘটনকালে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার ১৪ সদস্য

ডাকাতি সংঘটনকালে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার ১৪ সদস্য

মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি

নওগাঁর আত্রাই থানা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার রামকৃষ্ণসহ তার দলের বাহীনির সক্রিয় ১৪ জন সদস্যকে ডাকাতি সংগঠনকালে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার বিকেলে জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলো বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিষ্ণু দাসের ছেলে শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), একই উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার সরদারের ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫), মৃত ওমরচান সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার (৩৬), জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্রী সুবিন্দ চন্দ্রের ছেলে শ্রী রিমন চন্দ্র (২১), শ্রী বিরেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বিফল চন্দ্র দাস (২৪), শ্রী ঝড়– চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র দাস (২১) ও শ্রী প্রনব চন্দ্র দাস (২২), জিয়াপুর গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী উজ¦ল চন্দ্র দাস (২৮), মৃত নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), মৃত হরেন হাওলাদারের ছেলে শ্রী মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পাঁচবিবি উপজেলার কুসুমবাগ গ্রামের সায়েদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭), ও ধুরইল গ্রামের মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ড্রাইভার মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮)।

র‍্যাব জানায়, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ চুরি করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা জনৈক মোঃ আবুল কালাম আজাদের পুকুরে মাছ চুরি করে পিকআপে লোড করার সময় র‍্যাবের আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের হাতেনাতে আটক করে। এসময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে ৩৬৫ কেজি কার্প জাতীয় মাছ, ১টি মাহিন্দ্রা পিকআপ (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) ২টি মাছ ধরার জাল ১টি চাকু ও ১টি ছোট হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তাদের দলের সরদার শ্রী রামকৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জন রয়েছে। তারা নঁওগা, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে এ ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত।

পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড অনুযায়ী নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Most Popular

Recent Comments