বিশেষ প্রতিবেদন: পৃথিবীকে দ্বীনের আলোয় আলোকিত করতে ,দ্বীনিয়া মাদ্রাসার প্রতিস্থাপন ছারসীনা হযরত পীর সাহেবের একটি ভূয়সী উদ্যোগ। ইতিমধ্যে দেশে হাজার হাজার দ্বীনিয়া মাদ্রাসা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ও হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়।ডালবুগঞ্জ দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ছারসীনা আলা হযরত পীর সাহেবের সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি দ্বীনিয়া মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটির অবস্থান কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ গ্রামে। গ্রামের শত শত এতিম , অসহায়, জ্ঞান পিপাসু বালকদের পদচারণায় মুখরিত এই দ্বীনিয়া মাদ্রাসাটি। একজন শিক্ষকের পাঠদানে সম্পন্ন হয় তাদের পাঠদান কর্মসূচি। কিন্তু এই মাদ্রাসাটির ভিতরের দৃশ্য সত্যিই অবাক করার মত। শত শত শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের জন্য মাদ্রাসাটির অভ্যান্তরীণ বোর্ডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এলাকার জনগণের কাছ থেকে প্রাপ্ত মুষ্টিচাল ও সামান্য কড়ি দিয়ে পরিচালনা করা হয় এই বোর্ডিংয়ের কার্যক্রম। এছাড়াও এর মাধ্যমে শিক্ষকের বেতনসহ যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাজও করা হয় । বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনটি ভৌত অবকাঠামোগত অনুন্নত। স্যাঁতস্যাঁতে মেঝ, কর্দমাক্ত পুকুরের পানি, অস্বাস্থ্যকর পায়খানা হলো এই মাদ্রাসাটির বর্তমান অবস্থা। সব থেকে বড় কথা হলো এখানে বোর্ডিং এ অবস্থানকারী শিক্ষার্থী নানা সমস্যার সম্মুখীন। তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে এ যেন ইয়ামেনের দুর্ভিক্ষের বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন। তাছাড়া এখানে কর্মরত শিক্ষক তার বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না। সর্বোপরি বেহাল দশায় এই দ্বীনিয়া মাদ্রাসাটি। করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষকগণ বেতন-ভাতা পেলেও এই মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না । এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সংশয়। এমতাবস্থায় যদি কোনো সাহায্যের হাত বাড়ানো না যায় ,তাহলে এই কমলমতি বাচ্চারা তাদের শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে