ইমাম হাসান ইমন, ঢাবি প্রতিনিধি: ‘সবাই মিলে গড়ি নিরাপদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখেই যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ।সংগঠনটি সৃষ্টির শুরু থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছে। তাই এ পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু সমস্যার সমাধানে ভুমিকা রেখেছে সংগঠনটির সেচ্ছাসেবকরা।
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে একটি গ্রুপ যেখানে হয়রানির শিকার হওয়া শিক্ষার্থী অভিযোগ করছে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে মিলছে সমাধানও। ঢাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা প্রশাসনের সাথে যুক্ত রয়েছে এবং সংগঠনটির সেচ্ছাসেবকদের পারস্পরিক ভুমিকায় ঢাবির পড়ুয়াদের যে কোনো প্রকার আইনি ও পুলিশি সহায়তা প্রাপ্তি ত্বরান্বিত হয়েছে।
সংগঠনটির কাজ আরো ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে চারটি টিম যথাঃ সাইবার সিকিউরিটি টিম,আইন সহায়তা টিম,প্রশাসনিক সহায়তা টিম এবং নারী নিরাপত্তা টিম। ইতিমধ্যে,জিনিয়া অপহরণে সঠিক অনুসন্ধানে পুলিশকে সহায়তা করে এবং ক্যাম্পাসের এক ছাত্রীকে হ্যারাসমেন্ট করা দুষ্কৃতকারী ও মাদকাসক্তকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে সংগঠনটি অন্যতম সংগঠক আরাফাত চৌধুরী।
মি. চৌধুরী ডেইলি বাংলাদেশ বার্তাকে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, ‘নিরাপত্তা মঞ্চের মূল ভুমিকা হলো ঢাবির বর্তমান কিংবা সাবেক শিক্ষার্থীদের যদি বৈধ কোনো প্রকার আইনি কিংবা পুলিশি সাহায্যের দরকার হলে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সহায়তা করা। এই সেবা প্রাপ্তির আওতায় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সীমাবদ্ধ। আমাদের সংগঠনের সাথে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন বিচারক এবং অ্যাডভোকেটরাও যারা মূলত ঢাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।কোনো ঢাবিয়ান যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ গ্রুপে অভিযোগ জানিয়ে পোস্ট দেয়,মেসেজ দেয় কিংবা মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তবে আমরা অভিযোগকারীকে সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করি। তবে কেউ অবৈধ কাজ করার জন্য অন্যায় আবদার নিয়ে আসলে তা নাকচ করে দেই। আমাদের মিশন হলো ঢাবিকে নিরাপদ ক্যাম্পাস করা এবং কোনো ঢাবিয়ান যাতে অন্যায় অবিচার কিংবা হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে এর কার্যক্রম সমগ্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যদিও তা সময় সাপেক্ষ’।
ঢাবি নিরাপত্তা মঞ্চের সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটের টিম লিডার অপি করিম বলেন, ’প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেখছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর যেকোনো ধরণের সমস্যায় পাশে থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ। হয়রানিমূলক মামলা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করছে, শিক্ষার্থীদের পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে ভূমিকা রাখছে, শিক্ষার্থীদের আইনি, পুলিশি সহায়তা পেতে কাজ করছে নিরাপত্তা মঞ্চ। সাইবারের ক্রাইমের শিকার হওয়া ভাই-বোনদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে নিরাপত্তা মঞ্চ। মোটকথা শিক্ষার্থীদের সকল ধরণের সমস্যার সাধ্যমত সহায়তা করা হয় নিরাপত্তা মঞ্চ থেকে,এটা ঢাবিয়ানদের এক ভরসার জায়গা হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন৷ ধন্যবাদ জানাই এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভাইকে এবং সংগঠনের সবচেয়ে এক্টিভ ও কার্যকরি সদস্য আরাফাত চৌধুরীকে যার বদৌলতে অসংখ্য মানুষ এইপর্যন্ত সাহায্য পেয়েছে’।