চারণ মুসাফির, ঝালকাঠি।।
একজন ব্যাচেলর পুরুষের জীবনে খাওয়া-দাওয়ার সমসন্যা নতুন কিছু নয়। কর্মের সন্ধানে কিংবা কর্মের প্রয়োজনে মানুষকে দূরদূরান্তে পরে থাকতে হয়। বাড়ি ছেড়ে নতুন জায়গায় বেঁচে থাকার জন্য নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়, সখ্যতা হয়। হয়তো নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধাও পাওয়া যায়। তবে মায়ের হাতের যত্ন করা ঘরোয়া খাবারের নিশ্চয়তা মেলেনা। কিন্তু ঝালকাঠির মোহাম্মদ নান্টু সিকদার (নওমুসলিম) সেই মানের ঘরোয়া খাবারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন অনেক ব্যাচেলরকে। সাইকেল চালিয়ে খাবার প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেন তিনি নিজেই। পৌঁছে দেয়ার খরচসহ প্রত্যেক বেলা ৬০টাকা করে নেন তিনি। চিকন চালের ভাত, মশুরি ডাল, শাক বা সবজি এক পদের সহ মাছ/গরুর মাংস/ডিম মেন্যুতে রাখা হয়। মূলত দুপুর আর রাতের জন্যই তিনি এই ব্যবস্থা রেখেছেন। ব্যাচেলরদের কষ্ট দেখে ৪ (চার) বছর আগে তিনি এ সেবামূলক ব্যবসাটি চালু করেন। বাসায় তাঁর স্ত্রীই রান্না করে দেয়ার পর তিনি প্রত্যেকের খাবার বাটি যথাসময়ে পৌঁছে দেন। অনেক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও লোকবল ও পরিবহন সংকটের কারণে বর্তমানে প্রতিদিন ১৮ জনকে তিনি খাবার দিতে পারেন। ভবিষ্যতে একটি অটোরিক্সা কিনে তার এই অব্যাহত সেবাকে বাড়াতে চান মো. নান্টু সিকদার।
নান্টু সিকদার বিগত ১৬ বছর আগে হিন্দু সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। হয়ে যান নান্টু সাহা থেকে মোহাম্মদ নান্টু সিকদার। কাঠখড় কম পোহাতে হয়নি তাকে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর বরিশালে পুলিশের হেফাজতে ছিলেন বেশ কিছুদিন। বর্তমানে ভাঙ্গা জিনিসপত্রের বেঁচাকেনাও করেন তিনি। এই জীবন নিয়ে তিনি তৃপ্ত। সবার কাছে শুধু দোয়া চান।