জুনাইদ সিদ্দিকী, বিএম কলেজ
বরিশাল নগরীর সদরে অবস্থিত সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ। দক্ষিণ বঙ্গের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার গন্তব্য এই কলেজ। ক্যাম্পাসটি সবুজের সমারোহ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা থাকায় নগরীর মানুষ ঘুরতে আসেন এখানে।
তবে বরিশাল বিভাগের মানুষের প্রিয় শতবর্ষী কলেজে ক্যান্টিন মাত্র একটি। সেটিও করোনা মহামারির পর বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর গত ফেব্রুয়ারিতে ফের চালু হয়েছিলো। তবে এক সপ্তাহ না যেতেই ফের বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বন্ধ হওয়ার কারণ জানা নেই কারও। এতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কলেজের শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বসার জায়গাগুলো বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সবকিছুতে জমেছে ধুলোবালু। করোনা মহামারীতে প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল বিএম কলেজের ক্যান্টিন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এটি চালু হলেও সপ্তাহ খানেক পর ফের বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সবাই।
বাইরে বাড়তি দামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেতে হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কলেজ কর্তপক্ষ যদি ক্যান্টিনটি পুনরায় চালু করে দেয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই ভালো হতো। সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারতো সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, আমি যখন ২০১৮ সালে বিএম কলেজে অনার্সে ভর্তি হই, তখন আমাদের ক্যান্টিন ভালোই চলছিল। অবসর সময়ে খাবার খেতে পারতাম, বন্ধু-বান্ধব মিলে আড্ডা দিতাম। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ক্যাম্পাসের বাইরে খাবার খেতে গেলে অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাস্তা পারাপার হতে হয়। বাইরে খাবারের দাম বেশি।
তার ভাষ্য, বাইরে বাড়তি দামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেতে হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কলেজ কর্তপক্ষ যদি ক্যান্টিনটি পুনরায় চালু করে দেয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই ভালো হতো। সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারতো সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ইতিহাস বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী সারা আক্তার সুখি বলেন, কলেজ ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাইরে খাবার খেতে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ে। বাইরের খাবার বেশিভাগ সময় অস্বাস্থকর হয়। খাবারের দাম অতিরিক্ত। এতে অনেক শিক্ষার্থী দুপুরে না খেয়েই ক্লাস করেন। আবার দেখা যায়, বাইরে খেতে সময়েরও বেশ অপচয় হয়। এসব ভোগান্তি দূর করার জন্য কলেজ ক্যান্টিন চালু করা জরুরি।
এ বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, অজ্ঞাত কারণে কলেজের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গেছে। ক্যান্টিন বন্ধ হওয়াতে ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বিবেচনা করে ক্যান্টিনের দায়িত্বশীল যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে খুব শীগ্রই চালু করে দেওয়া হবে।