আবদুল্লাহ আল মামুন:
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের মমতাজ মিয়ার দিঘির পাড়ে ফ্রেন্ডস কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার (এফসিটিসি) এ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বেসিক ট্রেড কোর্সের পরীক্ষায় ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সকলে জিপিএ ৫ অর্জন করেছে।
এ প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালে ঐ এলাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তরুণ যুবক মোহাম্মদ রাসেল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এলাকার শিক্ষিত তরুণ তরুণীদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। শুরুতে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও ধীরে ধীরে রাসেলের প্রশিক্ষণের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর তার ট্রেনিং সেন্টার থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বেসিক ট্রেড কোর্সের পরীক্ষায় ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সকলে এ প্লাস অর্জন করেছে। এ সাফল্যের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সকলে অনেক আনন্দিত। কৃতি শিক্ষার্থীদের একজন রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি ফ্রেন্ডস কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার অফিস প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেক উপকৃত হয়েছি। এখানের ট্রেইনার রাসেল স্যার এ বিষয়ে একজন দক্ষ প্রশিক্ষক। তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এ এলাকার অনেকে বিভিন্ন বেসরকারি সেক্টরে কর্মরত আছেন। অনেকে দেশের বাইরেও কর্মরত আছেন।
ফ্রেন্ডস কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল দাগনভূঞা সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করে বর্তমানে ঐ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। রাসেল বলেন, আমি নিজে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে সফল হয়েছি। তাই আমি উদ্যোগ নিয়েছি আমার এলাকার তরুণ প্রজন্মের নিকট কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে। আশা করি আমাদের সকলের সম্মেলিত উদ্যোগে আমাদের তরুণ প্রজন্ম কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।
ফ্রেন্ডস কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার (এফসিটিসি) এর যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর।
এ পর্যন্ত পর পর ৩টি ব্যাচ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ৬ মাস মেয়াদি বেসিক ট্রেড কোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যা অসাধারণ ফলাফল ও সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে। তেমনি এবার ৩য় ব্যাচ ও অসাধারণ ফলাফল অর্জন করে যার শতভাগ শিক্ষার্থী এ প্লাস পেয়ে পাশ করেছে, যা ফেনী ও দাগনভূঞার মধ্যে অন্যতম।
বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ৩০ জনের অধিক শিক্ষার্থী কম্পিউটার শিক্ষায় চলমান আছে।